Business Relation: চিন-পাকিস্তানের মতো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে লাগাম টানল সরকার, সতর্ক করা হল রাজ্যগুলিকে

রাজীব জয়সওয়াল

কোনও দেশের নাম উল্লেখ করেনি ভারত। তবে ইঙ্গিতে বোঝা যাচ্ছে চিন ও পাকিস্তানের মতো দেশের সঙ্গে ভারত চায় না বিশেষ ব্যবসায়ীক লেনদেন করতে। ওদের সঙ্গে কোনও বাণিজ্যিক চুক্তি হোক এটা চায় না সরকার। এনিয়ে রাজ্য সরকারগুলিকেও বলে দেওয়া হচ্ছে। 

২০২০ সালের জুলাই মাসের একটি নির্দেশ ছিল। ভারতের সঙ্গে যাদের স্থল সীমান্ত রয়েছে তেমন দু একটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক কোনও সম্পর্ক রাখার আগে সেব্য়াপারে ভালো করে খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছিল। তবে সেই সময় বিশেষ কোনও দেশের নাম বলা হয়নি। 

তবে এবার সরকার সমস্ত রাজ্যকে নির্দেশ পাঠিয়ে জানিয়েছে, প্রতিবেশী শত্রু দেশের সঙ্গে কোনও বাণিজ্যিক সম্পর্ক করার আগে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দরকার। কারণ গোটা বিষয়টির সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষার বিষয়টি যুক্ত রয়েছে। 

সমস্ত মুখ্য সচিবের সঙ্গে এনিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া হল? আসলে কেন্দ্রীয় সরকার খবর পায় একাধিক রাজ্যের কোম্পানি চিনের ঠিকাদারদের নিয়ে এসে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করতে চাইছে। এটা একেবারেই মেনে নিতে পারছে না সরকার। 

হিন্দুস্তান টাইমসের সিস্টার অর্গানাইজেশন মিন্টের তরফে গত ৮ অক্টোবর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল যে ভারতীয় ভিসা পাওয়ার জন্য চিনের BYD Auto Co Ltd -এর কর্তাব্যক্তিরা নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় থাকা ভারতীয় শিল্প সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন। এদিকে ইজরায়েলের হানার আগে থেকেই ভারতের সুরক্ষা এজেন্সির হাতে কিছু তথ্য এসে পৌঁছায়। 

২০২০ সালের ২৩ জুলাই ভারত বিভিন্ন পাবলিক প্রজেক্ট করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শত্রুদেশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করে। চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবার নয়া পথ নিল ভারত। 

২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পরপরই ২৯ জুন অন্তত ৫৯টি মোবাইল অ্যাপ বিশেষত চিনের মোবাইল অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর মাধ্য়মে ভারতের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে দেশের তরফে মনে করা হচ্ছে। সস্তার চিনের জিনিসপত্রগুলির জায়গায় ভারত আত্মনির্ভরতার উপরেও জোর দিতে