অরণ্য সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে অক্সিজেনের মতো প্রাণবায়ুতে পৃথিবী ভরিয়ে দেয় একমাত্র গাছ। তাই প্রতি মাসে বা সব অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা এবং অরণ্য সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের র‌্যাডিসন ব্লুর মেজবান হলে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং (ইউএসটিসি) ক্যাম্পাসে ২০২৫ সালের মধ্যে জিরো কার্বন স্ট্যাটাস অর্জনের লক্ষ্য এবং ইউএসটিসিতে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ইউএসটিসি ভিশন ২০৪১-এর সঙ্গে সংগতি রেখে বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘রেস টু জিরো কার্বন’ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে চায়। মেডিসিন, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, বায়োটেকনোলজি এবং লাইফ সায়েন্স, বিজনেস স্টাডিজ এবং হিউম্যানিটিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি শিক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ বছরেরও অধিক একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বসহ চট্টগ্রামের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্দোলন জলবায়ু ও পরিবেশের উন্নতি ঘটাবে এবং এসডিজি লক্ষ্য পূরণে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতি ও জাতির উন্নয়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

তিনি বলেন, ‌‘কার্বন ফুটপ্রিন্টের পাশাপাশি সচেতন হতে হবে ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট সম্পর্কে। হাইপার-কানেক্টেড ডিজিটাল লাইফ একটা সমান্তরাল জগৎ তৈরি করেছে। নিজেদের  বাঁচিয়ে রাখতে, সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে পরিবেশবান্ধব জীবনের কোনও বিকল্প নেই। টেকনোলজির ব্যবহারে আমরা যত দ্রুত এগোচ্ছি, তত দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছি সমাপ্তি রেখার দিকে। তাই কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে যে পদচিহ্ন দিকনির্দেশ করে আলোর দিকে, সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করাই এখন একমাত্র উপায়। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএসটিসির ডাইরেক্টর (বিবিএমএইচ) ডা. শেখ মাহসিদ নুর। প্রোগ্রামের সূচনা বক্তব্য দেন ইউএসটিসির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউএসটিসির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আহমেদ ইফতেখারুল ইসলাম, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুর রাজ্জাক, সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। সমাপনী বক্তব্য দেন আইএএইচএসের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ এম এম এহতেশামুল হক।

অনুষ্ঠানের পর ‘রেস টু জিরো কার্বন’ অব ইউএসটিসি-২০২৫ প্রোগ্রামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। এই চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন দেশের সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারী বৃহৎ এই প্রতিষ্ঠান ইউএসটিসিকে সার্বিক সহযোগিতা করে ২০২৫ সালের মধ্যে ‘রেস টু জিরো কার্বন’ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে।