Shyamal Adak: ‘সত্যের জয় হয়েছে’, আদালত থেকে জেলে যাওয়ার আগে বললেন শ্যামল আদক

টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদককে শনিবার মাঝরাতে গ্রেফতার করেছিল হলদিয়ার সুতাহাটা থানার পুলিশ। সোমবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে তমলুক জেলা আদালেত পেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে এদিন সরকার পক্ষের আইনজীবী শ্যামল আদকের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানান। তবে বিচারক সোমনাথ ভট্টাচার্য তিন দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠান শ্যামল আদককে। এরপরই আদালত থেকে বের হয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় শ্যামল আদক বলেন, ‘সত্যমেব জয়তে। সত্যের জয় হয়েছে।’ উল্লেখ্য, এই শ্যামল আদক শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

কয়েকদিন আগে এই শ্যামল আদক নিখোঁজ থাকায় হুলিয়া জারি করেছিল পুলিশ। পরবর্তীকালে আদালতের রক্ষাকবচ থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি হলদিয়ার পুলিশ। তবে গত শনিবার মাধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে আদালতে শ্যামলবাবুর আইনজীবী দাবি করেন, ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত শ্যামল আদককে টেন্ডার দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না বলে রক্ষাকবচ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। আইনীজীবী দাবি করেন, পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেন শ্যামল আদক। কিন্তু এরই মধ্যে অন্য একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারিতে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সরকারি আইনজীবী বৈদ‍্যু আলম মল্লিক বলেন, শ্যামল আদককে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়নি। পরে শ্যামল আদককে তিনদিনের জেল হেফাজতে নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী ১৫ ডিসেম্বর আবার তাঁকে তমলুক জেলা আদালতে তোলা হবে।

প্রসঙ্গত, হলদিয়া পুরসভায় চেয়ারম্যান ছিলেন শ‍্যামল আদক। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হলদিয়ার আজাদ হিন্দনগরের এক নির্মাণ সংস্থার মালিক অরুণাংশু মুখোপাধ‍্যায় প্রতারণার অভিযোগ তুলে হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় এফআইআর করেন। তাঁর সংস্থার সই জাল করে শ‍্যামল আদক নিজের কোম্পানির নামে ৮৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা মূল্যের ক্রেডেনসিয়াল তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে টেন্ডার দুর্নীতির তথ‍্য উঠে আসে। কয়েক কোটি টাকার অনিয়মের নথি হাতে পায় পুলিশ। হলদিয়া পুরসভার টেন্ডার সংক্রান্ত দেড় হাজার ফাইল পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। ২ অক্টোবর হলদিয়া আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।