Tawang Indo-China Face-Off: তাওয়াঙে ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে সংসদে ঝড়ের ইঙ্গিত, পরপর মুলতুবি প্রস্তাব বিরোধীদের

কংগ্রেস, তৃণমূল এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি তাওয়াং সংঘর্ষ নিয়ে সরকারের কাছ থেকে বিবৃতি চেয়ে সংসদে মুলতবি প্রস্তাব পেশ করেছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তরফে সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছেন সাংসদ সৌগত রায়। কংগ্রেসের তরফে সাংসদ মণীশ তিওয়ারি মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছেন। এদিকে কংগ্রেস সাংসদ সৈয়দ নাসির হুসেন রাজ্যসভায় ১৭৬ নং নিয়মের অধীনে স্বল্প সময়ের আলোচনার নোটিশ দিয়েছেন এই একই ইস্যুতে। এদিকে ২৭৬ নং নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যসভায় তাওয়াং সংঘর্ষ নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছেন আম আজমি পার্টির রাঘব চাড্ডা, কংগ্রেসের শক্তি সিং গোহিল।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে সংঘাতে জড়ায় ভারতীয় ও চিনা সেনা। সংঘাতের জেরে কয়েকজন ভারতীয় সেনা এবং চিনা সেনার কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই আবহে কংগ্রেস যে তাওয়াং সেক্টরে ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে সংসদে ঝড় তুলবে তার ইঙ্গিত গতকালই মিলেছিল। গতকাল এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আবারও আমাদের ভারতীয় সৈন্যদের উসকানি দিয়েছে চিনারা। আমাদের জওয়ানরা দৃঢ়ভাবে লড়াই করেছেন এবং তাদের কয়েকজন জখমও হয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে আমরা দেশের সঙ্গে আছি। এটা নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না। চিনা সীমালঙ্ঘন নিয়ে আসত তথ্য প্রকাশ করা উচিৎ মোদী সরকারের। পাশাপাশি, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখার কাছে চিন যেসব নির্মাণ কাজ করেছে, সেই বিষয়ে সৎ হওয়া উচিত মোদী সরকারের। এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা করে সরকারের উচিৎ জাতির আস্থা অর্জন করা। আমরা আমাদের সৈন্যদের মূল্য এবং আত্মত্যাগের জন্য চিরকাল ঋণী থাকব।’

এদিকে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশও। তিনি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বে আমরা গর্বিত। সীমান্তে চিনের পদক্ষেপ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। গত দুই বছর ধরে আমরা বারবার সরকারকে জাগানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু মোদী সরকার শুধুমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি বাঁচাতে বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ কারণে চিনের সাহস বাড়ছে।’