তিন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সহকর্মী গ্রেফতার, আদালতে স্বীকারোক্তি 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তিন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আলমগীর আলম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার রূপালী আবাসিক এলাকার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আলমগীর আলম ওই এলাকার মৃত হাফিজ মোল্লার ছেলে। তিনি রুপালী আবাসিক এলাকার চার নং গলির মাহবুবা চায়নার ভাড়া বাড়ির বাসিন্দা।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী তিন কিশোরীর মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় পৃথক তিনটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর রূপালী আবাসিক এলাকার  আলমগীর আলম তার ভাড়াটিয়া বাড়িতে কৌশলে ডেকে নিয়ে তিন কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ৮ ডিসেম্বর দুপুরে একজনকে এবং ১২ ডিসেম্বর আরও দুই কিশোরীকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কৌশলে ডেকে নিয়ে সেখানে ধর্ষণ করে। পরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বের করে দেয়।

বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বক্কর সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘ভুক্তভোগী তিন কিশোরীর বয়স কম, যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১০ বছর। তারা তিন জন স্থানীয় হোসিয়ারী কারখানায় কাজ করতেন। অভিযুক্ত ধর্ষকও একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো। এর কিছুটা দূরে রূপালী আবাসিক এলাকায় অভিযুক্ত ধর্ষকের বাড়ি। সেই বাড়িতে নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে ডেকে নেয়। বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে সেই বাড়িতে তাদের ধর্ষণ করে। পরে তিন কিশোরী হোসিয়ারী কারখানা প্রতিষ্ঠানের মালিককে এ বিষয়ে জানালে তিনি কিশোরীদের পরিবারকে বিষয়টি জানান। পরে কিশোরী তিন জনের মা বাদী হয়ে পৃথক তিনটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত আলমগীর ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এক দিন দুই কিশোরীকে এবং অপর একদিন এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় আলমগীর আলমকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর তিন কিশোরী ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।