Agni V: চিন সীমান্তে সংঘর্ষের পরেই অগ্নি ৫-এর পরীক্ষা! পাল্লা বাড়িয়ে কি বার্তা?

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আকাশে আলো। যেন মেঘের আড়াল থেকে কেউ টর্চ জ্বালিয়েছেন। অগ্নি ৫-এর পরীক্ষামূলক উড়ানের সাক্ষী থেকেছেন ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) ভারতের অত্যাধুনিক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-V-র এই পরীক্ষা পরিচালনা করে। ওড়িশার আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে এই উৎক্ষেপণ করা হয়।

নিয়ম মেনেই জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এই পরীক্ষা সম্পর্কে কোনও বিশেষ খুঁটিনাটি তথ্য দেয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে যে, ডিআরডিও আরও বেশি রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য কম্পোজিট মোটর ও কম্পোজিট উপাদানের ব্যবহার পরীক্ষা করছে।

তবে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কূটনৈতিকভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরের ইয়াংটজে এলাকা থেকে প্রায় ৬০০ চিনা সৈন্যকে সরিয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। সেই সংঘাত পরিস্থিতির ঠিক পরপরই এই পরীক্ষা। এ যেন বেজিংকে দেওয়া একটি প্রতীকী হুঁশিয়ারি। তবে সরকারিভাবে তেমন কোনও কথা বলা হয়নি। এই সবই অনুমান। আরও পড়ুন: কলকাতার আকাশে কীসের আলো? অগ্নি ৫-এর নাম শুনেছেন?

অগ্নি ৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পারমাণবিক হানা করা সম্ভব। প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার রেঞ্জ। ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী সাবমেরিনের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক যে কোনও অঞ্চলে যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রতিরোধের ক্ষমতা আছে অগ্নির। ভারতের পারমাণবিক কৌশলের অন্যতম অংশ এটি।

এর আগে শেষবার ২০২১ সালের অক্টোবরে অগ্নি ৫-এর ট্রায়াল হয়েছিল। DRDO-র পারমাণবিক কৌশলের অংশ হিসাবে, সরকার চাইলে আরও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে। 

বর্তমানে, অগ্নি ১ মিসাইল ৭০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে পারে। অগ্নি ২ যেতে পারে ২০০০ কিমি দূরে। অগ্নি ৩ ও অগ্নি ৪ মিসাইল অন্তত ৩৫০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম।

দক্ষিণ চিন তো বটেই। মধ্য চিনেও আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে অগ্নি-৫-এর। ডিআরডিও ইতিমধ্যেই ৫ হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র রোল-আউট করতে চেয়েছে। পুরোটাই মোদী সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে। আরও পড়ুন: অগ্নি ৫ এর মহড়ায় সফল হল ভারত, রাতের ঘুম উড়ল কাদের? কতদূরে আঘাত হানতে পারে?

ভারতের উপকূলরেখা প্রায় ৭,৫০০ কিলোমিটার। আর এই বিপুল এলাকা জুড়ে উপকূলের নিরাপত্তা বজায় রাখা মোটেও সহজ বিষয় নয়। ভারতের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এমন কোনও নৌ বহরের মোকাবিলা করার জন্য একটি জাহাজ-রোধী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চলছে। সেটি আপাতত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চিনের কাছে যেমন DF-21 অ্যান্টি-শিপ মিসাইল রয়েছে। পারমাণবিক সাবমেরিন ব্যবহার করে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। ভারতেও, জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চলছে। তবে আপাতত নতুন অগ্নিই যে কোনও ধরনের প্রতিপক্ষকে আটকাতে যথেষ্ট।