Coochbehar Shootout: রাতের কোচবিহারে চলল শুটআউট, মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন দু’‌জন, অভিযুক্ত পলাতক

এবার কোচবিহারের বাবুরহাটে ঘটল ‘‌শুটআউট’–এর ঘটনা‌। শীতের রাতে গুলির শব্দে কেঁপে উঠল উত্তরের এই জেলা। এই গুলি চালানোর জেরে আহত হয়েছেন দুই যুবক। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় বাবুরহাট বাজারে হঠাৎ গুলি চালায় এক যুবক। অন্তত ৫ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে মত্ত যুবকের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযুক্ত যুবক পলাতক। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। আহতরা এখন কোচবিহার মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঠিক কী ঘটেছে কোচবিহারে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দেবব্রত আচার্য (বান্টি) নামে এক যুবক বাবুরহাট বাজারে এসে হঠাৎই ৫ রাউন্ড গুলি চালায়। সেই গুলিতে স্থানীয় দুই ব্যবসায়ী মনতোষ সিং এবং বিমল কর্মকার গুরুতর আহত হন। তাঁদের পায়ে গুলি লেগেছে। তখন সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে ওই যুবক এখন পলাতক রয়েছে। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে কি কারণে সে গুলি চালাল সেটা এখনও জানা যায়নি।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ দুই যুবকের নাম মনতোষ সিং ও বিমল কর্মকার। বাবুরহাট এলাকায় মনতোষ সিংয়ের একটি সেলুন রয়েছে। আর একটু দূরেই লটারির দোকান রয়েছে বিমল কর্মকারের। কোচবিহারের বাবুরহাট এলাকারই এই বাসিন্দা বান্টি মদ্যপ অবস্থায় এসে তাঁদের উপর অতর্কিতে গুলি চালায়। তবে লক্ষ্য সঠিক না হওয়ায় মনতোষ ও বিমলের পায়ে গুলি লাগে। তারপরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বান্টি। তার খোঁজ চলছে।

ঠিক কী বলছেন মনতোষ–বিমল? এই ঘটনার পর হাসপাতালে শুয়ে পুলিশকে‌ মনতোষ সিং জানান, তাঁর এবং বিমলের পাশাপাশি দোকান রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তাঁরা দোকান বন্ধ করে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। হঠাৎ করেই বান্টি এসে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। তাঁরা বরাতজদোরে প্রাণে বেঁচে যান। তাঁদের পায়ে গুলি লাগে। তারপর তাঁরা চিৎকার করলে পালিয়ে যায় বান্টি। আর বিমল কর্মকার বলেন, ‘‌কেন আমাদের গুলি চালাল জানি না। আমরা তো কেউ রাজনীতি করি না। একেবারে সাধারণ মানুষ। খেটে খাই।’‌