Woman reportedly marries Lord Vishnu: ‘ঝগড়ার আশঙ্কা’, ভগবান বিষ্ণুকে বিয়ে মহিলার, কন্যা সম্প্রদান মায়ের: রিপোর্ট

ভগবান বিষ্ণুকে বিয়ে করলেন রাজস্থানের এক যুবতী। বিয়ের জন্য কন্যা সম্প্রদান করেন তাঁর মা। ওই যুবতীর দাবি, বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হতে পারত। তাতে জীবন নষ্ট হয়ে যেত। সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজস্থানের নরসিংপুরা গ্রামের যুবতী পূজা সিংয়ের বয়স ৩০। যিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। সেই পূজা ভগবান বিষ্ণুকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তাতে সায় ছিল না পূজার বাবা অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ আধিকারিকের। মা অবশ্য পূজার পাশেই ছিলেন। কন্যা সম্প্রদানও করেন তিনি।

ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেভাবেই ধুমধাম করে পূজার বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ৩০০ জনকে আমন্ত্রণ জানান পূজারা। তিনি জানান, তুলসি বিয়ে করেছেন। কারণ পুরোহিতের সঙ্গে আলোচনা করে দেখেছেন যে হিন্দু ধর্মের প্রথায় সেভাবেই বিয়ের নিয়ম আছে বলে জানিয়েছেন রাজস্থানের যুবতী।

কিন্তু এরকম কেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পূজা? যুবতীকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রথাগতভাবে বিয়ে করলে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার সম্ভাবনা থাকত। সেইসব ঝামেলা যাতে না হয়, সেজন্য এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন পূজা। তিনি জানান, বৈবাহিক ঝামেলায় নিজের ‘জীবন নষ্ট’ করতে চাননি। ছোটোখাটো বিষয়ে স্বামী ও স্ত্রী’র মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকে। সেই ঝামেলার জেরে দু’জনের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। সবথেকে খারাপ প্রভাব পড়ে মহিলাদের উপর। তাই ‘ঠাকুরজি’কে’ বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিয়ের পর থেকে বাড়ির কাছেই একটি ছোটো মন্দিরে যান পূজা। প্রতিদিন ভগবান বিষ্ণুর জন্য ভোগ তৈরি করেন। রোজ ভগবান বিষ্ণুর পুজো করেন বলে জানান পূজা। 

যদিও টুইটারে ‘পূজা সিং’ নামে এক ব্যবহারকারী আবার নিজেকে ওই পূজা হিসেবে দাবি করেছেন। একটি টুইটে তিনি বলেছেন, ‘দয়া করে মীরার সঙ্গে আমার তুলনা করবেন না। আমি পুরো প্রথা মেনে বিয়ে করেছিল। যা মঙ্গল দোষ কাটানোর জন্য। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের লোক সেটা বলবেন না।’