রবিবার সন্ধ্যায় সারা পৃথিবীর নজর থাকবে কাতারের দিকে। একদিকে মেসি, অন্যদিকে এমবাপে। ইতিমধ্যে শহর কলকাতায় ফুটবল ভক্তরা ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছেন দুই শিবিরে। আর্জেন্তিনার সমর্থকরা তো ছিলেনই, এখন ব্রাজিল, জার্মানির মতো বহু দেশের সমর্থকরা বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে ফ্রান্সকে সমর্থন করছেন। এছাড়া ফ্রান্সের নিজস্ব সমর্থকরা তো আছেনই। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল জ্বরে কাঁপছে গোটা শহর।
এই যেমন অরিজিৎ বসু। পেশায় আইটি কর্মী অরিজিৎ ফুটবলের ভক্ত। কাজ করেন বিধাননগরের সেক্টর ফাইভ এলাকায়। এমনিতে রবিবারে ছুটি। অফিস যাওয়ার প্রশ্নই নেই। কিন্তু গড়িয়া থেকে ঠেঙিয়ে বিধাননগরে নিজের অফিসের এলাকাতেই রবিবার যাবেন বলেন ঠিক করেছেন তিনি। তাও আবার একা নন, সঙ্গে কয়েক জন বন্ধু।
কেন সল্টলেকে যাচ্ছেন অরিজিৎ? কারণ সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ এলাকায় বসেছে জায়ান্ট স্ক্রিন। সেখানেই দেখানো হবে বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল। আর সেখানেই বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি দেখবেন বলে ভেবে রেখেছেন অরিজিৎ।
আবার দমদম এলাকার বাসিন্দা সম্পূর্ণা গোস্বামী। তিনিও ফুটবল খেলা দেখতে ভালোবাসেন। কর্মসূত্রে কিছুটা সময়ে প্যারিসে কাটিয়েছেন। ফরাসি সংস্কৃতির ভক্ত। তার পাশাপাশি ফরাসি ফুটবল দলেরও ভক্ত। বিশ্বকাপে ফ্রান্সের একটি খেলাও বাদ দেননি তিনি। ফাইনালটিও বাদ দেওয়ার প্রশ্নই নেই। কিন্তু বাড়িতে বসে ফোনের স্ক্রিনে বা টিভিতে খেলা দেখার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। যে আবাসনে তিনি থাকেন, সেখানেই বড় পর্দা টাঙানো হচ্ছে রবিবারের জন্য। আরও অনেকের মতোই এগিয়ে এসে উদ্যোগ নিয়েছেন সম্পূর্ণা নিজে।
অফিস পাড়া, পাব, বার, আবাসনের মতোই বড় পর্দায় বিশ্বকাপ ফুটবল দেখার পরিকল্পনা নিয়ে শহরতলির মানুষও। কলকাতা থেকে অনতিদূরে বারাসতেই যেমন। পাড়ার মধ্যে বড়পর্দা টাঙিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখার পরিকল্পনা করছেন বেশ কিছু ক্লাবের সদস্য।
সব মিলিয়ে বড়দিনের আগেই বড়পর্দায় বড় ম্যাচ দেখার তোড়জোর শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা শহর জুড়ে। আপাতত হাতে এর একটা সন্ধ্যা। তার পরেই মেসির মহারণ।