Sudden cardiac death: সিনেমা দেখতে দেখতে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু! কেন এমন হয়? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

সিনেমা দেখতে দেখতে হঠাৎই হার্ট অ্যাটাক। অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া জেলায় সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটল। ভাইয়ের সঙ্গে বসে জেমস ক্যামেরনের অবতার ২ দেখছিলেন এক যুবক। সিনেমা চলাকালীন মাঝপথেই হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়। আত্মীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সিনেমা দেখতে দেখতে হঠাৎ এমন দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার কারণ কী?

সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ নেপথ্যে কী রয়েছে?

চিকিৎসকের কথায়, আগে থেকে কিছু রোগ লক্ষণ থাকলে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা বেড়ে যায়। হঠাৎ বা সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হলে তাকে সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ বলে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ধমনীতে ব্লকেজ থাকলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। এতেই বেড়ে যায় হঠাৎ বা সাডেন হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা। সিনেমার বিভিন্ন দৃশ্যের কারণে দর্শকের উত্তেজনার পারদ ওঠানামা করে। দেখা গিয়েছে, এই সময় হঠাৎ করেই স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। এর থেকেই হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, আগে থেকে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের মতো গুরুতর সমস্যা থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটার প্রবণতা আরও বেশি থাকে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সঞ্জীব গেরার মতে, কোভিডের পর থেকে মানুষে রক্তনালির প্রদাহের সমস্যা আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এটিও এই রোগের অন্যতম একটি কারণ।

অ্যারিথমিয়াস রোগটি কীভাবে দায়ী?

হদস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়ে পড়লে তাকে অ্যারিথমিয়াস বলে। ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে হৃদযন্ত্রের অস্বাভাবিক স্পন্দন দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকের কথায়, অন্ধ্রপ্রদেশের যুুবকটির সম্ভবত তেমনই কোনও সমস্যা ছিল। এই ধরনের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ শরীরের জন্য প্রাণঘাতীও হতে পারে। এক্ষেত্রে তেমনটাই হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সিনেমা দেখাকালীন অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণে রক্তের গতি বেড়ে যায়। এর ফলে ধমনীর গায়ে ফাটল (র‌্যাপচার) দেখা দিতে পারে। তখনই এমন হার্ট অ্যাটাক হয়।