Bongaon Gangrape: গৃহবধূকে গণধর্ষণ সাধুদের ডেরায়, বনগাঁয় অভিযুক্তদের আটক পুলিশের

সংসারে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি ছিল। এই পরিস্থিতি কাটাতে প্রতিবেশীদের কাছে পরামর্শ নিয়েছিলেন গৃহবধূ। সেখান থেকেই এই সাধুর নাম শুনেছিলেন তিনি। সংসারের অশান্তি থামাতে ওই গৃহবধূ যান সাধুদের ডেরায়। সেখানে ওই গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সাধু–সহ সাগরেদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে বনগাঁয়। এমনকী এই অপমান সহ্য করতে না পেরে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের। সোমবার রাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃত গৃহবধূর দাদা। আর আজ, মঙ্গলবার অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

ঠিক কী অভিযোগ পরিবারের?‌ পরিবার সূত্রে খবর, ৬ বছর আগে বনগাঁর বাসিন্দার সঙ্গে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। বিয়ের প্রথম বছর কাটতেই নিত্য অশান্তি লেগে থাকত দু’‌জনের মধ্যে। এই অবস্থায় বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান ওই গৃহবধূর স্বামী। আর স্বামীকে ফিরে পেতে একবছর ধরে অভিযুক্ত সাধুর কাছে যাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। সেখানে অভিযুক্ত সাধু ও তার সঙ্গী ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। একাধিকবার ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই ঘটনার কথা পরিবারের কাউকে বলতে পারেননি ওই গৃহবধূ। তবে সোমবার সকালে নিজের ঘর থেকেই ওই গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। তাতে গোটা বিষয়টি লিখে গিয়েছেন ওই গৃহবধূ। সেখানে ওই সাধু ও তাঁর সঙ্গীর নাম লেখা ছিল। এরপর সাধুদের আটক করে জেরা করতে শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের সদস্যরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গৃহবধূর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে ধর্ষণের কথা উল্লেখ রয়েছে। সাধুদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে উপযুক্ত উত্তর দিতে না পারলে গ্রেফতার করা হবে।