M‌anas Bhuiya: ‘‌ভিন রাজ্যের বাতাসে শহর দূষিত হচ্ছে’‌, জোরালো দাবি করলেন মানস ভুঁইয়া

কলকাতার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়ছে। আর এখন শীতকাল। ফলে সেটা আরও বড় আকার ধারণ করেছে। যদিও এই দূষণের জন্য গোটা বাংলা বা কলকাতা দায়ী নয় বলেই মনে করেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তাঁর দাবি, কলকাতা–সহ পশ্চিমবঙ্গে দূষণ বাড়ার মূল কারণ হল বিহার, ঝাড়খণ্ড–সহ ভিন রাজ্য থেকে বয়ে আসা বাতাস। আর সেই বাতাসের ভাসমান ধূলিকণায় দূষিত হচ্ছে এই মহানগরীর বাতাস। সাংবাদিক বৈঠকে এই কথাই জানালেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী।

ঠিক কী বলেছেন পরিবেশমন্ত্রী?‌ পরিবেশ দূষণ নিয়ে সম্প্রতি একটি বৈঠক করেছেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। সেখানে কলকাতা–সহ রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। তখনই তিনি জানতে পারেন কলকাতার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়ছে। এরপর তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘মূলত ওই সব রাজ্যের ধুলো বাতাসের মাধ্যমে এই রাজ্যে ঢুকে দূষণ ঘটাচ্ছে।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সম্প্রতি রাজ্য পরিবেশ দফতর এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের শীর্ষ কর্তারা কাঠমান্ডুতে ‘বিশ্ব ব্যাঙ্ক’ আয়োজিত পরিবেশ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যান। সেখানে এই বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। যদিও রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। এখানেই প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলার কথাও বলেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে শহরে একটি বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

কী উদ্যোগ নেবেন পরিবেশমন্ত্রী?‌ রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, আন্তঃসীমান্তে যে দূষণ হয় সেটা মারাত্মক। তাই দূষণ কমাতে অন্য রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রীর বলেন, ‘আমরা আগে আন্তঃরাজ্য সমন্বয় নিয়ে একটি নোট তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীকে দেব। তিনি অনুমতি দিলে এই কাজ শুরু করা হবে। কারণ ভিন রাজ্য থেকে বয়ে আসা দূষণ কমাতে সীমান্ত এলাকায় লম্বা গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।’

আর কী করা হবে?‌ দূষণের উৎস নির্ধারণে রাজ্যের পরিবহণ দফতর এবং নয়াদিল্লি আইআইটি’‌র সঙ্গে বৈঠক হয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, নন–এসি সরকারি বাসে একটি সেন্সর লাগানো হবে। যাতে দূষণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা যায়। বাসটি যখন রাস্তায় চলবে, তখন ওই সেন্সরের মাধ্যমে এলাকার দূষণ সংক্রান্ত তথ্য উঠে আসবে। ইতিমধ্যেই সাতটি রুটকে চিহ্নিত করা হয়েছে এই পাইলট প্রকল্পের জন্য।