Spike in lemon buying: কোভিডের দাওয়াই নাকি লেবু! চিনে এই ফলের চাহিদা তুঙ্গে, জোগান দিতে কাহিল কৃষকরা

(Bloomberg) কয়েকদিন আগেও ব্যবসায় মন্দার কারণে মাথায় হাত পড়েছিল চিনের ফলচাষিদের। সারা মরশুমে চাষ করা ফল দেশ বা বিদেশ কোনও বাজারেই ঠিকমতো সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তবে সেই ছবিটাই এবার হঠাৎ করে পাল্টে গেল। কোভিডের হাত থেকে বাঁচতে লেবু খাওয়া শুরু করেছেন চিনের অধিকাংশ মানুষ।ফলে হঠাৎ করেই বিক্রি বেড়ে গিয়েছে লেবু ও টকজাতীয় ফলের। কোভিডের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি-এর দিকে ঝুঁকছে সে দেশ। আচমকা এতটাই চাহিদা বেড়েছে যে জোগান দিতে গিয়ে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে চাষিদের। বাজারে ওষুধের জোগানে ঘাটতি দেখা দিতেই এমন প্রাকৃতিক সমাধানের দিকে ঝুঁকেছেন দেশের অধিকাংশ বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, লেবুর সঙ্গে সঙ্গে অন্য বেশ কিছু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলের চাহিদাও বেড়ে গিয়েছে।

দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের সিচুয়ান প্রদেশে ৫৩ হেক্টর জমিতে ফলের চাষ করেন ওয়েন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাষি তাঁর পদবীটুুকু জানিয়েছেন)। এদিন ফোনে ধরা হলে তিনি সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গকে জানান, বাজারে রীতিমতো আগুন লেগে গিয়েছে। চাহিদা বেড়ে যেতে তরতরিয়ে বাড়তে শুরু করেছে লেবুর দাম। শেষ সপ্তাহে রোজ ওয়েনকে ২০ থেকে ৩০ টন লেবু জোগান দিতে হয়েছে। যেখানে এর আগে রোজ পাঁচ থেকে ছয় টনের বেশি চাহিদা ছিল না বাজারে। প্রসঙ্গত, চিনের ৭০ শতাংশ ফলের জোগান আসে সিচুয়ান থেকেই। ওয়েনের চাষ করা লেবু মূলত বেজিং ও সাংহাইয়ের বাজারে যায়।

চিনের সরকার কোভিড জিরো নীতি থেকে সরে আসতেই বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। তারপরেই সে দেশে হঠাৎ করে লেবুর চাহিদা বাড়তে শুরু করল। লেবু কোভিড প্রতিরোধ করতে পারে এমন তথ্যপ্রমাণ এখনও বিজ্ঞানীদের হাতে আসেনি। ওয়েন এদিন জানায়, সরকারের কড়া নীতির জন্য দেশের ভিতরে ও বাইরে পরিবহনের মাধ্যমে লেবু সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল লেবু চাষিদের। সেই পরিস্থিতিতে আচমকা বদল আসার ফলে লাভের মুখই দেখছেন চাষিরা। তাঁর কথায়, লেবুর গুণের কথা যেন কিছুদিন পরেই মানুষ ভুলে না যায়।