দিল্লি যাত্রা রুখতে ‘এই ব্যবস্থা’, মেনে নিলেন অনুব্রতর আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায়

অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা রুখতেই তাঁকে পরিকল্পনামাফিক রাজ্য পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছে। গোটা ঘটনাটিই পরিকল্পিত। বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে খোলাখুলি একথা স্বীকার করলেন অনুব্রতর আইনজীবী তথা বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। বিরোধীদের দাবি যে নির্ভুল ছিল, তা নিজে মুখেই স্বীকার করলেন মলয়বাবু।

এদিন সাংবাদিকরা মলয়বাবুকে প্রশ্ন করেন, বিরোধীরা বলছে অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা রুখতে পরিকল্পনা করে শিবঠাকুর মণ্ডলকে দিয়ে এই অভিযোগ করানো হয়েছে। জবাবে মলয়বাবু দৃপ্ত কণ্ঠে বলেন, ‘হ্যাঁ, ব্যবস্থাই তো। একশো বার। ইডি এবং সিবিআই যেখানে মিথ্যা মামলায় একটা লোককে বিনা দোষে দিনের পর দিন আটকে রাখার চেষ্টা করছে আমরাও চেষ্টা করছি সেই লোকটাকে বাঁচাবার’।

সোমবার ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরায় ছাড়পত্র দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। তার পরই দুবরাজপুর আদালতে অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ করেন শিবঠাকুর মণ্ডল নামে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধান। মঙ্গলবার সকালে অনুব্রতকে ইডি দিল্লি নিয়ে যাবে বলে যখন সব প্রস্তুতি সারা তখন আসানসোল জেলে পৌঁছে যান বীরভূম জেলা পুলিশের তদন্তকারীরা। অনুব্রতকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুরে নিয়ে আসেন তাঁরা। অনুব্রতকে পেশ করা হয় দুবরাজপুর আদালতে। সেখানে জামিনের আবেদন করেননি অনুব্রত। ফলে তাকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। মঙ্গলবারই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি।