Bachelors’ March For Brides: ‘বিয়ে করতে চাই!’ মিছিল করে জেলাশাসককে বললেন আইবুড়োরা, পাত্রী পাচ্ছেন না কেন

বিয়ের পোশাকে রাস্তায় নামলেন বিবাহযোগ্য পুরুষ। রীতিমতো মিছিল করলেন। দাবি, একটাই। তাঁরা বিবাহযোগ্য, তাই বিবাহযোগ্যা পাত্রী চাই। কিন্তু পাত্রী পাবেন কোথায়? পুরুষ এবং নারীর সংখ্যার অনুপাতের বিচারে দেখা গিয়েছে, প্রতিটি পুরুষের বিবাহ করার জন্য নারী নেই। তাই আইবুড়োই কাটাতে হচ্ছে অনেককে। সেই বিষয়টিতে আলোকপাত করতেই পথে মিছিল অবিবাহিত পুরুষদের। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে। 

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিবাহযোগ্যা কন্যার আকাল ওই সব এলাকায়। সার্বিকভাবে এলাকায় মেয়েদের সংখ্যা খুবই কমে গিয়েছে। নারী-পুরুষের অনুপাত রীতিমতো গুলিয়ে গিয়েছে। তাই মেয়ে খুঁজে দেওয়ার দাবিতে পথে নেমেছেন এই যুবকরা।

মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে এই সব পুরুষরা একটি দল গঠন করেছেন। বুধবার সেই দলের তরফেই মিছিল করলেন তাঁরা। বিবাহে ইচ্ছুক পুরুষদের এই দলটির নাম দেওয়া হয় ‘ব্রাইডগ্রুম মোর্চা’। বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘বিবাহযোগ্য পাত্রের দল’। 

সোলাপুর শহরে তাঁরা একটি মিছিল করেই থামেননি, তার সঙ্গে নিজেদের বক্তব্য প্রকাশের জন্য একটি ছোট সমাবেশও করেন। সেখানে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন তাঁরা। তার পরে জেলাশাসকের অফিসে গিয়ে নিজেদের দাবি জানিয়ে একটি চিঠিও জমা দেন। মিছিলে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে সরকারের কাছে।

কেন এই অসাম্য? কী মনে করছেন তাঁরা? সংগঠনের প্রতিনিধিরা এ জন্য দায়ী করেছেন, সন্তান জন্মের আগে ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণের বেআইনি প্রক্রিয়াকেই। তাঁদের দাবি, আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করে অবিলম্বে এটি থামানো দরকার। নাহলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

বিয়ের পোশাকেই মিছিল করে জেলাশাসকের অফিসে গিয়েছিলেন বিবাহযোগ্য অবিবাহিত পুরুষরা। এই মিছিল এবং সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন রমেশ বরস্কর নামের একজন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের নিয়ে বহু মানুষ ঠাট্টা করতে পারেন। কিন্তু বিবাহযোগ্য পুরুষরা বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে পাচ্ছেন না, এটাই আসল সত্যি। কারণ এখানে নারী-পুরুষের অনুপাত ঠিক নেই। ভবিষ্যতে এই বিষয়টিতে সচেতন না হলে সমস্যা আরও বড় আকার নেবে।’

মিছিল যাঁরা অংশ নেন, তাঁদের দাবি, মহারাষ্ট্রে প্রতি ১০০০ পুরুষের অনুপাতে নারীর সংখ্যা ৮৮৯। তাঁদের অভিযোগ, সরকারের গাফিলতির কারণেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, কন্যাভ্রুণ হত্যা করা হয়। সরকার তা বন্ধ করতে পারেনি। সেই কারণেই রাজ্যে নারী-পুরুষের সংখ্যায় ভারসাম্য বজায় নেই।