Preeclampsia pregnancy complications: গর্ভাবস্থায় কতটা জটিল আকার নেয় প্রিএকল্যাম্পসিয়া? কীভাবে এড়াবেন জেনে নিন

একটি শিশুকে জন্ম দেওয়ার সময় মাকে অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। গর্ভধারণের সময় খুব সামান্য সমস্যা বড় ও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। কখনও কখনও শিশু ও মা, দুজনেরই প্রাণের সংশয় হতে পারে। তেমনই একটি গর্ভকালীন সমস্যা হল প্রিএকল্যাম্পসিয়া।

সম্প্রতি ব্রিটিশ মহিলা ফুটবলার ডেমি স্টোকস-এর মুখে শোনা গেছে এই সমস্যার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। তার ও কেটি হ্যারিংটনের ছোট্ট শিশুটির বয়স ছ’মাস। তার জন্মের সময় কেটির এই সমস্যা দেখা দেয়। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে পড়ে যে নির্ধারিত সময়ের আগেই শিশুটির জন্ম হয়। ডোমি জানাচ্ছেন, সে সময়টা খুব চাপের মধ্যে কেটেছে তাদের। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। ছোট্ট হারলেনকে নিয়ে তারা এখন বেশ সুখী।

প্রিএকল্যাম্পসিয়া কী?

প্রিএকল্যাম্পসিয়া একধরনের হাইপারটেনসিভ ডিসঅর্ডার। সাধারণত গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহের মাথায় এই সমস্যা দেখা দেয়। এটি মা ও শিশুর দুজনেরই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এই সমস্যার লক্ষণ

উচ্চ রক্তচাপ প্রিএকল্যাম্পসিয়ার মূল লক্ষণ। এর সঙ্গে হৃদযন্ত্র, কিডনি, যকৃৎ ও ফুসফুসের জটিলতাও দেখা দেয়। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে হাত ও মুখ ফুলে‌ যাওয়া, শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধা ও দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা। এছাড়াও পেটে ব্যথা, লিভার ও কিডনির কার্যক্ষমতাও ব্যাহত হতে পারে। এই সময় রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা অনেকটাই কমে যায়।‌ ফলে রক্ত ঠিকমতো জমাট বাঁধে না।

কাদের হতে পারে?

ভারতে ১০.৩ শতাংশ গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ বা অতিরিক্ত ওজন রয়েছে, একাধিকবার সন্তান হয়েছেন বা পরিবারে আগে কারও প্রিএকল্যাম্পসিয়া হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা আরও বেশি। তবে কেন এই জটিলতা দেখা দেয়, তার কারণ এখনও অজানা।

এর ফলে কী হতে পারে?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রিম্যাচিউর ডেলিভারির আশঙ্কা বেড়ে যায়। এছাড়াও জন্মের পর শিশুর কম ওজন ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। ৩৭ সপ্তাহের কাছাকাছি সময় এই সমস্যা ধরা পড়লে চিকিৎসকরা প্রিম্যাচিওর ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

কীভাবে এড়ানো সম্ভব?

  • গর্ভাবস্থায় ডায়েট ঠিক রাখলেই এই সমস্যা এড়ানো যেতে পারে। টাটকা ফল সবজি, ডাল, বাদাম ও ভালো ফ্যাটযুক্ত খাবার এই সময় খাওয়া উচিত।
  • মশলাদার ও তৈলাক্ত খাবার এই সময় একেবারেই ছোঁয়া উচিত নয়।
  • এছাড়াও গর্ভাবস্থায় কিছু ব্যায়াম করলে এই সমস্যা এড়ানো যায়। কোন ব্যায়াম এই সময় ভালো, সে বিষয়ে চিকিৎসকের বিস্তারিত পরামর্শ নেওয়া উচিত।