Narendra Modi: করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বঙ্গ বিজেপির জনসভার অনুরোধ ফেরালেন মোদী

করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাংলার পূর্বপরিকল্পিত জনসভা বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় গঙ্গা পরিষদের সভায় অংশ নিতে কলকাতায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিনই হাওড়ার ডুমুরজলায় প্রধানমন্ত্রীর একটি জনসভার আয়োজন করার কথা ছিল বিজেপির তরফে। তবে কোভিডের কারণে জনসভায় ‘না’ বললেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মোদী এবং বিজেপি সাংসদদের মাস্ক পরে যেতে দেখা গিয়েছিল। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আপতকালীন বৈঠকও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের জি২০-র সভাপতিত্ব শুরু হওয়ার আগে দেশে যাতে কোনও ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে নজর রাখছে কেন্দ্র। এদিকে সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা বন্ধ করতে বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এই আবহে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অবস্থান ঠিক রাখতেও হাওড়ার এই সভা বাতিল করা হল বলে মত বিশ্লেষকদের একাংশের।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সভা বাতিল প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ডুমুরজলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে তিনি সভা করবেন না।’ অবশ্য সেদিন বঙ্গ বিজেপির এক প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারে বলে খবর। যদিও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে হাওড়ার ডুমুরজলা ময়দানে মোদীর জনসভা আয়োজন করতে চাইছিলেন সুকান্তরা। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী এই জনসভার অনুরোধ ফিরিয়ে দেন। এদিকে জনসভায় যোগ না দিলেও সেদিন জোকা মেট্রো এবং হাওড়া থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করতে পারেন মোদী।

এর আগে বৃহস্পতিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন মোদী। বৈঠকে হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। সেই বৈঠকেই মোদী বলেন, কোভিড অতিমারি শেষ হয়ে যায়নি। পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তা এবং আধিকারিকদের পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। সেই বৈঠকের পরই দেশবাসীকে মাস্ক পরার আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। নির্দেশিকা জারি করা না হলেও দূরত্ব বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলিকে করোনা পরীক্ষা এবং জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।