Indian-American Journalist Sacrifices: বাজেটে টান, সতীর্থদের চাকরি বাঁচাতে পদত্যাগ পুলিৎজারজয়ী ইন্দো-আমেরিকান এডিটরের

সাম্প্রতিককালে বহু সংস্থাই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে। আর্থিক মন্দা কাটিয়ে উঠে সংস্থাকে লাভের মুখ দেখাতে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে টুইটার, মেটার মতো সংস্থা। আবার ওয়াশিংটন পোস্টের মতো নামকরা সংবাদপত্রও বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। এদিকে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকরা। এমনই টালমাটাল পরিস্থিতি মার্কিন সংবাদপত্র ডেট্রয়ট ফ্রি প্রেসেরও। সেই সংবাদপত্রের এডিটর আবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত পিটার ভাটিয়া। পুলিৎজারজয়ী এই এডিটর অবশ্য কর্মীদের ছাঁটাই করার বদলে নিজেকেই ছাঁটাই করে দিলেন। সতীর্থ সাংবাদিকদের চাকরি বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ করেন পিটার।

পরপর লোকসানের মুখ দেখা ডেট্রয়ট ফ্রি প্রেস বাধ্য হয়েই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে। সংবাদপত্রটির মালিক সংস্থা হল গ্যানেট। এই আবহে বাজেটের ঘাটতির কথা স্বীকার করে পিটার ভাটিয়া পদত্যাগ করলেন সংস্থার প্রধানের পদ থেকে। তিনি বলেন, আমাকে বেতন দিতে না হলে বাজেটে অনেকটাই টাকা বাঁচবে। তা থেকে অনেকেরই চাকরি বেঁচে যাবে। সংবাদপত্রটি পিটারকে উদ্ধৃত করে বলে, ‘আমরা এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সংস্থা কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে আমি নিজেকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে অন্যদের চাকরি বেঁচে যায়, তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সামনে অন্য সুযোগ উঠে আসবে। তবে আমার বেতন দিনে না হলে যদি বাজেটে চাপ কমে এবং অন্যদের চাকরি বেঁচে যায়, তাহলে এই মুহূর্তে সেটাই করা উচিৎ বলে আমি মনে করি।’

সাংবাদিক পিটার ভাটিয়া

এদিকে কয়েকদিন আগেই ওয়াশিংটন পোস্টের সিইও ফ্রেড রায়ান ঘোষণা করেন ২০২৩ সালের প্রথম কোয়ার্টারে অনেক কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে। বর্তমানে ওয়াশিংটন পোস্টের মালিকানা রয়েছে জেফ বেজসের হাতে। ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটন পোস্টের সানডে ম্যাগাজিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ম্যাগাজিনে কাজ করা কর্মীদেরও ছাঁটাই করা হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি এক বৈঠকে সংস্থার সিইও ফ্রেড রায়ান কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। কর্মী ছাঁটাই সংক্রান্ত কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করেন তিনি। ওয়াংশিটন পোস্টের কর্মীদের সংগঠনের তরফে ফ্রেডের ভিডিয়ো পোস্ট করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই আবহে ওয়াশিংটন পোস্ট গিল্ডের প্রশ্ন, ‘আমাদের প্রকাশক এভাবে কর্মীদের দিকে পিঠ কীভাবে দেখাকে পারেন। কর্মীদের মনে যথাযথ উদ্বেগ রয়েছে, তাদের মনে জরুরি প্রশ্ন রয়েছে।’