বিনা পয়সায় মালপত্র বইতে হবে, TMC নেতার ফতোয়া, অমান্য করতেই ভ্যানচালককে মার

বিনা পয়সায় মালপত্র বহন করতে চাননি এক মোটরবাহন চালক। দোষের বলতে এটাই। আর তার জেরেই ওই ভ্যান চালককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। পুলিশ ইতিমধ্যেই তার এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে।

ধাপার দুর্গাপুরের এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় ওই তৃণমূল কর্মীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পুলিশ ইতিমধ্যেই অপর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তার নাম পাঁচু মণ্ডল। কিন্তু মূল অভিযুক্ত তারক মণ্ডলের খোঁজে তল্লাশি চলছে।এদিকে আক্রান্ত ভ্যান চালকের বিরুদ্ধেও পালটা অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে তাঁর বিরুদ্ধেও এফআইআর হয়েছে। ঠিক কী অভিযোগ ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে?

আক্রান্তের অভিযোগ, আসলে তারক এলাকায় তোলাবাজি করে। বিনা পয়সা মালপত্র বয়ে নিয়ে যেতে বলে। আর তার প্রতিবাদ করলেই জোটে মারধর। সোমবার সন্ধ্যাতেও ধাপার কাছে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন রঞ্জন পোড়েল নামে ওই ব্যক্তি। সেই সময় হাজির হয় তারক মণ্ডল, পাঁচু মণ্ডল সহ কয়েকজন। বিনা পয়সা মালপত্র বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা নির্দেশ দেয়। কিন্তু এদিন আর সেকথা শুনতে চায়নি রঞ্জন। এরপরই শুরু হয় বচসা। আর তারপরই তারক ও তার সঙ্গীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। চলে বেধড়ক মার। একেবারে মাটিতে ফেলে মারধর। তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে এসএসকেএমে চিকিৎসা করাতে হয় তাকে।

এদিকে রাতেই প্রগতি ময়দান থানায় তারক ও তার দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রঞ্জন। তবে তার পরিবারের দাবি, থানায় যাওয়ার ব্যাপারটি কোনওভাবে জেনে গিয়েছিল তারক। এরপর মঙ্গলবার সকালে ফের বাড়িতে এসে তাণ্ডব চালায় তারক ও তার লোকজন। রঞ্জনের পরিবারের সদস্যদের উপর তারা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকায় তারককে কেউ বিশেষ চটাতে চায় না। তবে এদিনের ঘটনার জেরে শাসকদলের বিরুদ্ধেও ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। এভাবে গরীব ভ্যান চালককে মারধরের ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না কেউই।

পুলিশ দুপক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখছে। এদিকে তৃণমূলের অন্দরেও এনিয়ে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বর্তমানে গোটা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।