Bande Bharat Express: বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে তুঙ্গে উঠল বিতর্ক, কী ঘটল হাওড়ায় ট্রেনের ভিতর?‌

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস কাদের জন্য?‌ সাধারণ মানুষের জন্য নাকি বিজেপি নেতা–কর্মীদের জন্য!‌ এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। একদিন আগেই ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। হাওড়া থেকে পৌঁনে আট ঘণ্টায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার ট্রেনটিকে হাওড়া স্টেশনে রাখা হয়েছিল। আর তখনই বিতর্কের সূচনা হল। একদল অতি উৎসাহী বিজেপি কর্মী–সমর্থক উঠে পড়লেন ওই ট্রেনের কামরায়। সেখানে উঠেই শুরু করে দেন নাচানাচি এবং তুমুল স্লোগান। এই ঘটনায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় হাওড়া স্টেশন চত্বরে।

ঠিক কী ঘটেছে হাওড়া স্টেশনে?‌ এদিন বিজেপি কর্মীদের এই কাজ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে এই ট্রেনটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী আসার ৭২ ঘণ্টা আগে থেকেই হাওড়া স্টেশন নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। এমনকী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ দলের (এসপিজি) উচ্চপদস্থ অফিসাররা স্টেশন চত্বর পরিদর্শন করেন। উপস্থিত ছিলেন হাওড়ার পুলিশ কমিশনার এবং আরপিএফের পদস্থ কর্তারা। এছাড়াও পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম মণীশ জৈন, হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বিজেপি কর্মীদের অতি উৎসাহ এবং নাচন–কোদন তাল কাটল। বিজেপি কর্মীরা এদিন যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর জয়জয়কার শুরু করে দেন, তাতে ট্রেনটি আদৌ সাধারণ মানুষের জন্য কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ যেখানে সাধারণ মানুষের জন্য ট্রেন এখনও উন্মুক্তই হল না, সেখানে বজ্র আঁটুনির নিরাপত্তা ভেদ করে বিজেপির স্থানীয় কর্মীরা ট্রেনে উঠে নেচে স্লোগান দিলেন।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই ট্রেনটি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার পর সেটা রওনা দেবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের উদ্দেশ্যে। এই ট্রেন সপ্তাহে পাঁচদিন চলবে। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার জন্য সকাল ৫টা ৩০ মিনিট নাগাদ হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়বে। আর দেড়টা নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছবে। আবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে রাত সাড়ে ১০টায় হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছবে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।

কী খবর মিলছে রেল থেকে?‌ রেল সূত্রে খবর, মালদা ছাড়াও নিউ ফরাক্কা স্টেশনেও থামবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তবে সূত্রের খবর, এই দু’টি স্টেশন ছাড়াও বারসোই এবং কিষাণগঞ্জে দাঁড়াবে বন্দে ভারত। তবে বারসোই এবং কিষানগঞ্জে আদৌ ট্রেন দাঁড়াবে কি না, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বাণিজ্যিক যাত্রা শুরুর আগেই স্টপেজ ঠিক করা হবে। ইতিমধ্যেই স্টপেজের আবেদন জানিয়ে প্রচুর চিঠি জমা পড়েছে।