Pragya Thakur Knives Comment Controversy: চাকু রাখার নিদানের জের, BJP সাংসদ প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস

কর্ণাটকেকর শিবমোগায় এসে হিন্দুদের বাড়িতে অস্ত্র বা ধারালো চাকু রাখার ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। তাঁর সেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন কংগ্রেসর জয়রাম রমেশ। সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরের মন্তব্যকে ‘বিদ্বেষমূলক’ আখ্যা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে কোমর কষছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। জয়রামের বক্তব্য, ‘যেহেতু বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে কর্ণাটক পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না, তাই আমি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছি তাঁর বিরুদ্ধে।’ উল্লেখ্য, বর্তমানে কর্ণাটকে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেন, ‘কর্ণাটকে বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের মন্তব্য ঘৃণা ছড়ানোর স্পষ্ট উদাহরণ। এবং আমি এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব।’

উল্লেখ্য, রবিবার কর্ণাটকের শিবমোগায় হিন্দু জাগরণ বেদিকের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ। সেখানেই তিনি বাড়িতে অস্ত্র রাখার নিদান দেন হিন্দুদের। হিন্দুত্ববাদী কর্মীদের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাড়িতে অস্ত্র রাখুন। যদি কিছু না থাকে, তাহলে নিদেনপক্ষে সবজি কাটার ছুরিতে শান দিয়ে রাখুন। কখন, কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা কারও জানা নেই। প্রত্যেকেরই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। কেউ যদি আমাদের বাড়িতে অবৈধভাবে ঢুকে আসে এবং আমাদের উপর হামলা চালায়, তাহলে যোগ্য জবাব দেওয়ার অধিকার আছে আমাদের।’

সম্মেলন থেকে ‘লাভ জিহাদ’ নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘ওদের জিহাদের একটা প্রথা আছে। যদি অন্য কিছু করতে না পারে, তাহলে লাভ জিহাদ করে। ওরা যদি প্রেমও করে, তাতেও জিহাদ করে। আমরাও ভালোবাসি, ঈশ্বরকে ভালোবাসি। সন্ন্যাসীরা ঈশ্বরকে ভালোবাসেন। সন্ন্যাসীরা বলেন যে পৃথিবী তৈরি করেছেন ঈশ্বর। নিজের মেয়েদের রক্ষা করুন এবং তাদের সঠিক মূল্যবোধে শিক্ষিত করে তুলুন।’ পাশাপাশি মিশনারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সন্তানদের ভরতি করতে বারণ করেন প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘মিশনারি স্কুলে সন্তানকে ভরতি করলে আপনি নিজেই নিজের জন্য বৃদ্ধাশ্রমের দরজা খুলে দিচ্ছেন। ছেলেমেয়ে আপনাদের কাছে থাকবে না। আপনাদের সংস্কৃতি গ্রহণ করবে না। ওরা বৃদ্ধাশ্রমের সংস্কৃতিতে বড় হয়ে ওঠে এবং স্বার্থপর হয়ে ওঠে। নিজের বাড়িতে পুজো করুন। নিজের ধর্ম এবং শাস্ত্রের বিষয়ে পড়াশোনা করুন। নিজের সন্তানকে সেই বিষয়ে শিখিয়ে নিন। যাতে আপনার সন্তানও আমাদের সংস্কৃতি এবং মূৃল্যবোধের বিষয়ে জানতে পারে।’