Jadavpur University: ছাত্রীদের যৌন ইঙ্গিত অধ্যাপকের, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের যৌন ইঙ্গিত করার অভিযোগ উঠল এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ জমা পড়তেই তদন্ত শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর তারপর ওই অধ্যাপককে আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা পৌঁছে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র। সম্প্রতি কয়েকজন ছাত্রী অভিযোগ করেছিলেন ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি তদন্ত শুরু করে। তার পর অভিযুক্ত অধ্যাপককে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দিতে সুপারিশ করেছে কমিটি। এমনকী তাঁর কাউন্সেলিং দরকার বলে কমিটি পরামর্শ দিয়েছে।

ঠিক কী জানা যাচ্ছে?‌ এই অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম পরিষদ তদন্ত কমিটির সুপারিশে সায় দেয়। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘‌ওই অধ্যাপককে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির সুপারিশের কথা জানানো হয়েছে। আর তাঁকে বলা হয়েছে স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে কাউন্সেলিং পর্ব শেষ করার পর শংসাপত্র জমা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর এই প্রক্রিয়া করলে তবেই ক্যাম্পাসে প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।’‌ তবে এই পর্বে ওই শিক্ষক বেতন পাবেন কি না সেটা নিয়ে আইনজ্ঞের পরামর্শের পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে খবর।

ঠিক কী ঘটেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে?‌ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, একটি নির্দিষ্ট বিভাগের ছাত্রীরা গত সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক আচরণ করা নিয়ে অভিযোগ করে। ওই অধ্যাপক ছাত্রীদের যৌন ইঙ্গিত করতেন। তাতে বেশ অস্বস্তিবোধ করতেন ছাত্রীরা। এই অভিযোগের পর কমিটি তদন্ত করে অধ্যাপকের আচরণ, বিশেষ করে মৌখিক এবং দৈহিক ভাষা যৌন প্রকৃতির বলে বুঝতে পারে। তারপরই তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

তদন্ত কমিটি কী বুঝতে পারে?‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এই কমিটি উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর তাদের সুপারিশ জমা করে। এই কমিটি আরও বলেছে, ওই শিক্ষককে ছাত্রীদের গাইড হিসাবে যেন নিয়োগ করা না হয়। স্টাডি ট্যুর থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কয়েকজন ছাত্রী ইতিমধ্যে যাদবপুর থানায় ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।