১১ জানুয়ারি সারাদেশে বিএনপিসহ যুগপৎ গণ-অবস্থান কর্মসূচি

আগামী ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে একই কর্মসূচি দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোটসহ আরও কয়েকটি জোট ও দল।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত পৃথক-পৃথক গণমিছিলের কর্মসূচি থেকে এই গণ-অবস্থানের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা ৩২টি রাজনৈতিক দলের যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে এই গণমিছিল করা হয়।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার বড় বড় কথা বলে। আপনারা দেখেছেন জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায় নৌকার। এগুলো আসলে সিগনাল দেওয়া হচ্ছে সরকারকে। সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, মানুষ নিজের হাতে ভোট দিতে পারলে এই সরকারের কোন পাত্তা থাকবে না। এই সরকারের আসলে সময় শেষ।’

তিনি বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যুগপৎ আন্দোলনে যে সকল দল গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছে তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা বিভাগীয় গণসমাবেশের মতো এখানে জমায়েত হয়েছেন, এজন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দাবি করছি। আমরা আশা করছি, এই দেশের জনগণ গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে এই সরকারকে বিদায় জানাবে।’

বক্তব্য শেষে খন্দকার মোশাররফ দলের পক্ষ হতে দশ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২য় কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ১০ দফা দাবির প্রথম কর্মসূচি ছিল আজকের গণমিছিল। দ্বিতীয় কর্মসূচি হচ্ছে আগামী ১১ জানুয়ারি গণ-অবস্থান কর্মসূচি। ঢাকায় এ কর্মসূচি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে হবে। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে ৯টি বিভাগীয় শহরে একইভাবে সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে।’

এসময় অনান্য রাজনৈতিক দলকে একই কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের এই গণমিছিল যেসকল জোট দল আমাদের সঙ্গে একাগ্রতা প্রকাশ করে এই ঢাকা শহরে কর্মসূচি পালন করছেন, আমাদের বিশ্বাস এই সকল দলগুলো যুগপৎভাবে আগামী ১১ জানুয়ারি গণ-অবস্থান কর্মসূচি দিবেন।

গণমিছিল কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ 

১১ জানুয়ারি সারাদেশে বিএনপিসহ যুগপৎ গণ-অবস্থান কর্মসূচি

এদিকে, শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে ১১ জানুয়ারি গণ-অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

দুপুরের পর পৃথক কর্মসূচিতে ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার জানান, ১১ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা। এসময় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।