Fraud: ব্যবসায়ীর বান্ধবী কলকাতায় এসে ১৪ লক্ষ নিয়ে চম্পট, তারপর কী ঘটল?‌

ব্যবসায়ীর বান্ধবীর বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঋণের টাকা সংগ্রহ করতে আগরতলার ব্যবসায়ী বান্ধবীকে কলকাতায় পাঠিয়েছিলেন। ওই বান্ধবী কলকাতার পোস্তায় এসে সংশ্লিষ্ট ব‌্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেন। তারপর উধাও হয়ে যান যুবতী। টাকা না পেয়ে খোঁজখবর করতে শুরু করেন আগরতলার ব্যবসায়ী। তখন কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হন আগরতলার ব্যবসায়ী। গোটা ঘটনা শুনে তদন্তে নেমে আগরতলা স্টেশন থেকে ওই যুবতীকে গ্রেফতার করল সেই রাজ্যের পুলিশ।

ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া ওই যুবতীর নাম রিপা সরকার। তিনি আগরতলার ব্যবসায়ীর ঘনিষ্ঠ। ওই মেডিক‌্যাল যন্ত্রপাতির ব‌্যবসায়ীর ১৪ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হলে তিনি তাঁরই বন্ধু পোস্তার আর এক ব‌্যবসায়ীর কাছে টাকা ঋণ চান। চান্দু নামে পোস্তার ওই ব‌্যবসায়ী ঋণ দিতে রাজি হসে আগরতলার ব‌্যবসায়ী নিজের বান্ধবী রিপাকে পাঠান। আর ওই টাকা নিয়ে সটান চম্পট দেন যুবতী।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ‌ওই যুবতী কলকাতার একটি নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ইন্টার্ন হিসাবে কাজ করেন। আর পোস্তার ব্যবসায়ীর থেকে ১৪ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেন। আর আগরতলার ব্যবসায়ীকে রিপা জানান, ওখানে ভয় লাগায় টাকা না নিয়েই ফিরে এসেছেন। সন্দেহ হওয়ায় আগরতলার ব‌্যবসায়ী পোস্তায় নিজের বন্ধুকে ফোন করেন। তখন জানতে পারেন বান্ধবী টাকা নিয়ে সরে পড়েছে।

তারপর ঠিক কী হল?‌ পোস্তার ব‌্যবসায়ী চান্দু সিসিটিভির ফুটেজের ছবি পাঠিয়ে দেন আগরতলার ব্যবসায়ী বন্ধুকে। এরপর রিপা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বান্ধবী লাইন কেটে দেন। পোস্তার থানায় টাকা চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয়। পোস্তা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেন। খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে আগরতলা স্টেশনের রেল পুলিশকে তথ‌্য দেওয়া হয়। আগরতলার রেল পুলিশ ধরে ফেলে রিপাকে। আর তাঁর কাছ থেকে ১৩ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা তিনি খরচ করে ফেলেছেন।