ঘর পাওয়ার জন্য তৃণমূল করতে হবে, আবাস যোজনার অঙ্কটা জানালেন TMC জেলা নেত্রী

আবাস যোজনা নিয়ে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। প্রকৃত গরিব মানুষ সরকারি প্রকল্পের ঘর পাচ্ছেন না। অথচ শাসকদলের নেতা কর্মীদের নাম রয়েছে তালিকায়। এনিয়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভের ছবি। তবে তারমধ্যে আবাস যোজনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেত্রী।

তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ শনিবার পাহাড়পুর এলাকায় বক্তব্য় রাখছিলেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলে বসেন, আবাস যোজনার সুবিধা পেতে গেলে তৃণমূল করতে হবে। পরে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলেও তিনি তাঁর বক্তব্য অনড়। তিনি ঠিক কী বলেছিলেন?

মহুয়া গোপ বলেন, পাহাড়পুরের এই বুথের বাসিন্দা হয়ে যদি সরকারি সুবিধা পেতে হয়, সব সরকারি সুবিধার পাশে যদি ঘরটাও পেতে হয়, ঘরটা পাওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসটাই করতে হবে। কোনও বিজেপি এসে আপনাকে ঘর দিতে পারবে না।

তবে নেত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গে দলেরই অনেকে একমত নন। তবে তিনি অবশ্য তাঁর অবস্থান বদলাতে চাননি। তাঁর সাফ কথা, আবাস যোজনা নিয়ে বিজেপি নানা অপপ্রচার করছে।

এদিকে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। সভাতেই তিনি ঘোষণা করেন, সবেতেই ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। আবাস যোজনা নিয়ে বিজেপি গ্রামের মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তারা গ্রামে গ্রামে ফর্ম বিলি করছে। বলছে আপনারা আমাদের সমর্থন করুন। আমরা আমাদের ঘরের ব্য়বস্থা করে দেব। কিছু মানুষ ভুল বুঝে বিজেপি নেতাদের পেছনে যাচ্ছেন। কিন্তু বিজেপি আপনাদের ঘর দিতে পারবে না।

এদিকে নেত্রীর এই কথা প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, তৃণমূল সরকারে আছে। তৃণমূল পঞ্চায়েত চালাচ্ছে। সেখানে তৃণমূল করলেই ঘর পাওয়া যাবে। যিনি বলছেন তিনি সঠিক কথাই বলছেন। তিনি দলের কর্মসূচিই চোখের সামনে তুলে ধরেছেন। তৃণমূল তো বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।

এদিকে নেত্রীর কথায় সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। একদিকে ঘর না পাওয়া নিয়ে বঞ্চনা। আর সেই বঞ্চনার ক্ষোভকে যেন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের মন্তব্য। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, আবাস যোজনা একটি সরকারি প্রকল্প। সেই প্রকল্পের ঘর পাওয়ার জন্য কেন তৃণমূল করতে হবে? তবে কি এত দুর্নীতির অভিযোগের পরেও তিনি পরোক্ষে বলে দিতে চাইছেন বিরোধীরা আবাস যোজনার ঘর পাবেন না?