Assam: অসমে চার জেলাকে একে অপরের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত, কারণটা জেনে নিন

উৎপল পরাশর

শনিবার অসম ক্যাবিনেটের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, চারটি জেলাকে একে অপরের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ১৪টি জায়গায় নতুন করে সীমান্ত রেখা টানতে হবে। নির্বাচন কমিশনের আসন পুনর্বিন্যাসের ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই এই পদক্ষেপ অসমে।

২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ১২৬টি বিধানসভায় ও ১৪টি সংসদ আসনে নতুন করে আসন পুনর্বিন্য়াসের কথা ঘোষণা করে। নতুন করে প্রশাসনিক ইউনিট তৈরির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়। ১ জানুয়ারি থেকে এই নির্দেশ লাগু হবে বলে জানা গিয়েছে।

তবে এই আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে কোনও আসন বৃদ্ধি পাবে না। কিছু সংসদ এলাকায় সীমান্তগুলি নতুন করে টানা হতে পারে।

এদিকে কমিশনের আসন পুনর্বিন্য়াসের কথা ঘোষণার আগে অসম মন্ত্রিসভার তরফে নিউ দিল্লিতে দেখা করেছিলেন প্রতিনিধিরা। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে খুব একটা খুশি নন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তা সত্ত্বেও তিনি এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

হিমন্ত বিশ্বশর্মা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে আমি খুব একটা খুশি নই। তবে রাজ্যের মানুষের সার্বিক ভালোর দিকে খেয়াল রেখে কিছু পদক্ষেপ নিতেই হয়। প্রশাসনিক পদক্ষেপ হিসাবে ও অসমের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য় এটা করতে হয়েছে।

এদিকে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশ্বনাথ জেলাটি শোনিতপুরের সঙ্গে মিশে যাবে। হোজাই জেলাটি নগাঁও জেলার সঙ্গে, বাজালি জেলাটি বরপেটার সঙ্গে ও তামুলপুর জেলাটি বাকসার সঙ্গে মিশে যেতে পারে। অবিলম্বে এই নির্দেশটি কার্যকরী হবে। এনিয়ে নোটিফিকেশনও জারি হয়েছে। এক্ষেত্রে বর্তমানে অসমের জেলার সংখ্যা ৩৫ থেকে কমে হয়ে যাবে ৩১।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটা একটি মাঝামাঝি পর্ব। তবে আসন পুনর্বিন্য়াস হয়ে যাওয়ার পরে আমরা ফের চারটি জেলাকে ফিরিয়ে আনব। তার মাঝামাঝি সময়টাতে বিচার ব্যবস্থা, পুলিশ, প্রশাসন সব একই রকমভাবে কাজ করবে।

তবে মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৪টি এলাকায় সীমান্ত পুনরায় টানা হবে। প্রশাসনিক কারণেই এটা করা হবে। তবে কোন জায়গাগুলিতে হবে তার বিস্তারিত বিবরণ মেলেনি। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেছেন, উত্তর গুয়াহাটির পুর এলাকা যেটি বর্তমানে কামরূপ গ্রামীণ জেলার মধ্যে রয়েছে সেটি কামরূপ মেট্রোপলিটান জেলার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, এই সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল। আমার মন্ত্রিসভার সদস্যরা ওই জায়গায় গিয়ে জানাবেন কেন এটা প্রয়োজন ছিল।