CISF’র ভুয়ো আইকার্ড দেখিয়ে ধরা পড়লেন ব্যবসায়ী, ‘Please, ছেলেকে বলবেন না,’ কেন?

পড়াশোনার জন্য বিদেশ চলে যাচ্ছে প্রিয় ছেলে। আবার কবে আসবে জানা নেই। আর ছেলেকে এয়ারপোর্টে সি অফ করতে এসে নিজেকে সিআইএসএফ আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে বিমানবন্দরে একেবারে বোর্ডিং গেট পর্যন্ত ঢোকার চেষ্টা করলেন পেশায় ব্যবসায়ী বাবা। শুক্রবার এভাবেই তিনি ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢোকার চেষ্টা করেন। নিজেকে সিআইএসএফ আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে তিনি একটি ভুয়ো পরিচয়পত্রও দেখিয়েছিলেন। তবে সিআইএসএফের হাতে তিনি ধরা পড়ে যান। তাকে আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন তিনি এই কাণ্ড ঘটালেন?

পেশায় ব্যবসায়ী চিন্তন গান্ধী। তিনি ভিপি রোড এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি ভুয়ো আইকার্ড সিআইএসএফকে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তা আধিকারিকরা বুঝে ফেলেন এটি আসলে ভুয়ো। এরপরই তাকে আটক করা হয়।

সূত্রের খবর, সুমিত সিং নামে এক সাব ইনসপেক্টর ৩ নম্বর গেটে চিন্তন গান্ধীকে আটকে দেন। কারণ, ওই পয়েন্টের বাইরে সিভিলিয়ানরা ঢুকতে পারেন না। তিনি বিমান যাত্রী না হলে বা স্পেশাল পারমিশন না থাকলে তিনি বিমানবন্দরের ওই এলাকায় ঢুকতে পারেন না। এদিকে তিনি দাবি করেন, যে তিনি সিআইএসএফ আধিকারিক। তিনি একটি আই কার্ডও দেখান।

এদিকে পুলিশের কাছে বিবৃতিতে সাব ইনসপেক্টর সুমিত সিং জানিয়েছেন, সিআইএসএফের এএসআই রামকুমারের নামে ওই আই কার্ডটি তৈরি করা হয়েছিল। এটা পরীক্ষা করে আমার মনে হয়েছিল এটা ভুয়ো।

এদিকে সূত্রের খবর, চিন্তনের ড্রাইভিং লাইসেন্সে দেখা যায় তার আসল নাম চিন্তন গান্ধী। সুপিরিয়র আধিকারিকদের বিষয়টি জানানো হয়।

এরপর সিআইএসএফের ইনস্পেক্টর অবিনাশ রঞ্জনের কাছে চিন্তন গান্ধীকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি স্বীকার করে নেন, ওটি ভুয়ো পরিচয়পত্র। এদিকে বছর শেষে এই ঘটনায় বিমানবন্দরের সকলকে এনিয়ে সতর্ক করা হয়।

তবে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গান্ধী সিআইএসএফকে জানিয়েছেন, আমার টিনএজ ছেলে বিদেশে পড়তে যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের জন্য সে যাচ্ছে। সেকারণে বোর্ডিং গেট পর্যন্ত তিনি ছেলেকে দেখতে চেয়েছিলেন। সেকারণেই তিনি নেট থেকে CISF ID Card প্রিন্ট করান। এরপর সেখানে নিজের ছবি বসিয়ে তিনি ল্যামিনেট করিয়ে নেন।

এদিকে ওই ব্যবসায়ী সিআইএসএফকে অনুরোধ করেন, ছেলেকে কিছু বলবেন না। আমি এভাবে আই কার্ড জাল করেছি। সিআইএসএফ অবশ্য বিষয়টি মেনে নিয়েছে। তবে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

এনিয়ে পুলিশের ইনস্পেক্টর সঞ্জয় গোভিকর জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।