Elephant: ৯ ঘণ্টার চেষ্টার পরেও গরুমারাতে যেতে চাইল না অসুস্থ হাতি, এত জেদ!

নাথুয়া রেঞ্জের খেরকাটার জঙ্গলে দীর্ঘদিন ধরে হাতিটি অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। প্রায় মাস খানেক ধরে অসুস্থ হাতিটি। পশু চিকিৎসকরাও হাতিটিকে দেখে গিয়েছিলেন। তবে শুক্রবার সেই অসুস্থ হাতিটিকে গরুমারা জাতীয় উদ্য়ানে নিয়ে যেতে চেয়েছিল বনদফতর। এজন্য যাবতীয় ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু নানা চেষ্টা সত্ত্বেও নিজের জঙ্গল ছেড়ে যেতে চাইল না হাতিটি। ট্রাকে অর্ধেক ওঠার পরেও সেটি নেমে আসে বলে খবর। কুনকি হাতিরাও কম চেষ্টা করেনি। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হল বনদফতরকে। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে চেষ্টার পরেও ট্রাকে উঠতে চায়নি হাতিটি। ঠিক কী হয়েছিল ব্যাপারটা?

আসলে খেরকাটার জঙ্গলেই অসুস্থ হাতিটি রয়েছে। সেটিকে গরুমারার জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসতে পারলে খাওয়া দাওয়া বা চিকিৎসার কোনও সমস্যা হবে না। সেকারণেই হাতিটিকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল বনদফতর। সেই মতো দুজন পশু চিকিৎসককে জঙ্গলে নিয়ে আসা হয়। জেসিবি দিয়ে হাতিটিকে ট্রাকে তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের তিনটি কুনকি হাতি ফুলমতি, ভোলানাথ ও কাবেরীকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গধেয়ারকুটি বিট থেকে আনা হয় মিতালি নামে অপর কুনকি হাতিকে। সব মিলিয়ে একেবারে সাজো সাজো রব। জঙ্গলের বাইরে পুলিশ বাহিনীকেও মজুত রাখা হয়।

বনদফতরের পদস্থ কর্তারাও ঘটনাস্থলে চলে যান। মোরাঘাট নাথুয়া, ডায়না, খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরাও এলাকায় চলে যান। এরপর শুরু হয় হাতিকে ট্রাকে তোলার চেষ্টা।

জেসিবি দিয়ে হাতিটিকে ঠেলে কোনওরকমে ট্রাকে তোলার জন্য সবরকম চেষ্টা করা হয়। কুনকি হাতির সহায়তাতেও হাতিটিকে সরানোর চেষ্টা করা হয়। বনদফতরের অভিজ্ঞ বনকর্মীরা চেষ্টার সবরকম চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি বনদফতর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, হাতিটি ট্রাকের অর্ধেকটা উঠে পড়েছিল। কিন্তু তারপর আর উঠতে চায়নি। এরপর ফের সেটি নেমে পড়ে ট্রাক থেকে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে জংলী হাতিকে জোর করে কিছু করানোর চেষ্টা করলে তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে হাতিটিকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসার ব্যাপারে চেষ্টার কোনও কসুর করেনি বনদফতর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপাতত হাল ছেড়ে দিল বনদফতর।

তবে সূত্রের খবর, হাতিটি আপাতত কিছুটা সুস্থ আছে। আগামী দিনে সেটি যাতে আরও অসুস্থ না হয়ে পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।