চার্চে তাণ্ডব, এসপির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত, ধর্মান্তকরণ নিয়ে তুলকালাম বস্তারে

ঋতেশ মিশ্র

চার্চে তাণ্ডব ও একজন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছত্তিশগড়ের রায়পুরের বস্তারের নারায়ণপুর জেলায়। জোর করে খ্রীষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ তুলে আদিবাসীদের একটি গ্রুপ এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এসপির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচছে।

এই ঘটনায় নারায়ণপুরের পুলিশ সুপার সদানন্দ কুমার মাথায় আঘাত পেয়েছেন বলে খবর। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর,এসপির অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তিনি বিপদমুক্ত রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

গোরা গ্রামে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে সোমবার আদিবাসীদের অনেকেই আন্দোলনে নেমেছিলেন। আর তখনই বড় বিপত্তি। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার আদিবাসী ও আদিবাসী খ্রীষ্টানদের মধ্যে রবিবার সংঘর্ষ হয়েছিল। তাতে ৬জন জখম হয়েছিলেন। একজন পুলিশ আধিকারিকও জখম হয়েছিলেন।

সংবাদমাধ্যমের সামনে এক জখম ব্যক্তি জানিয়েছেন, গোরা গ্রামে জড়ো হয়েছিলেন একদল লোক। এরপর তারা আদিবাসী খ্রীষ্টানদের উপর হামলা চালায়। তাদের অভিযোগ ছিল গ্রামে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছে।

তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেমসাগর সিদার জানিয়েছেন, ধর্মান্তকরণ সংক্রান্ত ব্যাপারে এই সংঘর্ষ নয়।তবে একজন পুলিশ আধিকারিক সহ ৬জন জখম হয়েছেন।

এদিকে একটি দক্ষিণপন্থী সংগঠন এই হামলার পেছনে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার রাতে তারা হামলায় জড়িয়ে পড়ে বলে খবর।

এসপি জানিয়েছেন, প্রতিবাদকারীরা বিশ্ব দীপ্তি খ্রিষ্টিয়ান স্কুলের কাছে জড়ো হয়েছিল। এরপর স্কুল চত্বরে থাকা একটি চার্চের দিকে তারা এগোতে থাকে। এদিকে চার্চে হামলা চালাতে পারে উত্তেজিত জনতা এই খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলে যান। এরপর প্রতিবাদকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন তিনি।

এসপি বলেন, মনে হয়েছিল তারা শান্ত হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্য়েই ফেরার পথে একজন লাঠি দিয়ে আমার মাথায় মারে।

প্রশাসনের এক আধিকারিকের মতে , একটি দক্ষিণপন্থী সংগঠন এই হামলার পেছনে রয়েছে। এদিকে নারায়ণপুরের কালেক্টর অজিত বসন্ত জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রতিবেশী জেলা থেকে অতিরিক্ত বাহিনী আনা হয়েছে।

কালেক্টর জানিয়েছেন, চার্চে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তবে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পুলিশ এই হিংসাত্মক ঘটনায় যুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে। তদন্ত চলছে।