মদ পেটে পড়ে গেলে তৃণমূলে আর কোনও গোষ্ঠী নেই, অকপট স্বীকারোক্তি দলের কাউন্সিলরের

পেটে মদ পড়ে গেলে তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠী থাকে না। এমনই নির্ভেজাল স্বীকারোক্তি দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। কাউন্সিলরও কোনও অজ পাড়া-গাঁয়ের নন। তৃণমূলের দুর্গ বলে পরিচিত খাস কলকাতার বেলেঘাটা এলাকার কাউন্সিলর অলকানন্দা দাস। সোমবার রাতে সংবাদমাধ্যমের সামনে একথা বলেন তিনি।

ঘটনার সূত্রপাত তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মারামারিকে কেন্দ্র করে। বেলেঘাটার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ক্লাব সমন্বয় সমিতির কাছে মেরে প্রদীপ দাস ও শুকদেব দাস নামে ২ তৃণমূল নেতাকে ব্যাপক মারধর করে তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠী। আক্রান্তরা তৃণমূলের বাহুবলী বিধায়ক পরেশ পালের অনুগামী রাজু নস্কর ঘনিষ্ঠ বলে দাবি। হামলাকারীরা কলকাতা পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জীবন সাহার অনুগামী শংকর চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ। আহতদের রড, লাঠি, পাঞ্চার ও বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহতরা NRS হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পরেশ পালের অনুগামী রাজু নস্করের দাবি, বিধানসভা – পুরসভা ভোটে এদের দেখা যায়নি। এখন এরা তৃণমূল বলে দাবি করছে। আমার ছেলেদের বেধড়ক মারধর করেছে আমরা ছাড়ব না।

ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেই ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অলকানন্দা দাস বলেন, ‘এখানে তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। মদ পেটে পড়ে গেলে কোনও গোষ্ঠী থাকে না। থাকে শুধু মদের গোষ্ঠী। ঘটনার বিস্তারিত জানি না। তবে এক দল যে মদ খেয়ে ছিল সেব্যাপারে নিশ্চিত। পুলিশ যা করার করুক। পুলিশ ধরুক, বেদম মেরে জেলে ঢুকিয়ে দিক। আমার কিছু বলার নেই।’

ওদিকে আক্রান্ত শুকদেব দাসের দাবি, অলকানন্দা দাস সুখের দিনের পাখি। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে ময়দানে দেখা যায়নি।