Ghost: আজ দিদির ভূতেরা আসবে, দরজা, জানালা বন্ধ রাখুন, আজব পোস্টার ব্যান্ডেলে

ব্যান্ডেল স্টেশন রোডের এদিক ওদিকে নানা ধরনের হাতে লেখা পোস্টার। সেখানে লেখা, আজ দিদির ভূতেরা(দূত) আসবে, বাড়ির দরজা, জানালা বন্ধ রাখুন। এখানেই শেষ নয়, কোনও পোস্টারে আবার লেখা দিদির ভূতেদের(দূত) তাড়াও দেবানন্দপুর বাঁচাও। এদিকে কারা দিল পোস্টার? ভালো করে দেখলে দেখা যাচ্ছে পোস্টারের নীচে লেখা বিজেপি। অর্থাৎ বিজেপির পক্ষ থেকেই এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি নজরুল মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নেতাদের কীভাবে নিবিড় জনসংযোগ করতে হবে তার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর তারই অঙ্গ ছিল দিদির দূত কর্মসূচি। দিদির সুরক্ষা কবচ। বুধবার শরৎচন্দ্র সেমিনার হলের মাঠে তৃণমূলের এই কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।তবে সেই কর্মসূচির আগেই দেখা গেল পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে এলাকা। বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলা হয়েছে দিদির ভূতেরা আসবে। বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ রাখুন। আর এই পোস্টারকে ঘিরে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির।

বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই কর্মসূচি ঘোষণার পরেই বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন এটা ভূতের কর্মসূচি। তাই বিজেপির তরফে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হয়েছে ভূত আসছে, গ্রামের সবাই দরজা, জানালা বন্ধ রাখুন।

তবে গোটা ঘটনাকে আমল দিতে রাজি নয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দিদির দূত কর্মসূচিকে সফল করতে, রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্পের কথা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে নানা কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে তৃণমূল। গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের নানা কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল। সবটাই নেত্রীর নির্দেশে। রাজনৈতিক মহলের মতে নানা দুর্নীতির জেরে গ্রামে গ্রামে মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। আবাস যোজনা, নিয়োগ দুর্নীতির জেরে একেবারে মহা ঝামেলায় পড়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ড্যামেজ কন্ট্রোল করাটাই তৃণমূলের কাছে বড়় চ্যালেঞ্জ।

তবে এবার গোটা কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, পশ্চিমবাংলায় যেদিন থেকে তৃণমূল এসেছে সেদিন থেকেই ভূতের প্রভাব বেড়েছে। ভূতের নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা হয়। ভূতুরে ভোটার দেখা যায়। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তাই বেশ কিছু ভুতুড়েরা বাড়ি বাড়ি যাবে। কারণ এদের ভোট চলে যাবার পর পাঁচ বছর আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই হয়তো ভূতের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এদিকে দিদির দূতকে যমের দূত বলেও কটাক্ষ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ।