অঙ্কিতার কাছ থেকে পাওয়া ১৫ লক্ষ টাকা ববিতাকে গুছিয়ে রাখতে বলল আদালত

শিক্ষক হিসাবে তাঁর নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের মামলায় বিপাকে ববিতা সরকার। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে ববিতাকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার মামলার ফয়সলা হওয়ার সম্ভাবনা, সেদিন রায় ববিতার বিপক্ষে গেলে ওই টাকা জমা দিতে হবে আদালতে।

ববিতার নিয়োগকে চ্যালেঞ্চ করে গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়। তাঁর দাবি, ববিতাকে শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে প্রাপ্ত নম্বরের থেকে বেশি নম্বর দিয়েছে SSC. যার ফলে তাঁদের দুজনেরই মোট নম্বর হয়েছে ৭৭। কিন্তু আসলে ববিতার নম্বর হওয়ার কথা ৭৫। তা হলে ববিতা ওয়েটিং লিস্টে ১৪ জনের পিছনে চলে যাবেন। আর তালিকায় প্রথমে থাকবে অনামিকার নাম।

সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ববিতার আইনজীবীকে বলেন, অঙ্কিতা অধিকারীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণবাবদ পাওয়া প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা একটি অ্যাকাউন্টে ফিক্সড ডিপোজিট আকারে রাখতে হবে ববিতাকে। মামলার রায় তাঁর বিরুদ্ধে গেলে ওই টাকা আদালতে জমা দিতে হবে তাঁকে। মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার।

ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহে। শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায় দাবি করেন, ববিতা নন তাঁর পদের যোগ্য দাবিদার তিনিই। কারণ ফর্ম পূরণের সময় SSC-কে ববিতা জানিয়েছিলেন স্নাতকে তিনি ৮০০-র মধ্যে পেয়েছেন ৪৪০। শতাংশের নিরিখে যায় ৬০ শতাংশ। কিন্তু হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে আসলে তিনি ৬০ শতাংশের কম নম্বর পেয়েছেন। SSC-র বিধি অনুসারে স্নাতকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত ৮ নম্বর মেলে। আর ৪৫ – ৫৯ পেলে অতিরিক্ত মেলে ৬ নম্বর। ববিতা ৬০ শতাংশ পেয়েছেন বলে উল্লেখ করায় তাঁকে ৮ নম্বর বরাদ্দ করে SSC. যার ফলে ববিতা ও অনামিকা ২ জনেরই মোট নম্বর হয় ৭৭। কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতার নম্বর বেশি হওয়ায় ববিতা অগ্রাধিকার পান।