Haldwani Railway Land Eviction Case: রাতারাতি ৫০ হাজার মানুষকে উৎখাত করা যায় না, রেলের জমি জবরদখল মামলায় নির্দেশ SC-র

উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে রেলের জমি জবরদখল মামলায় বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, এভাবে হাজার হাজার মানুষকে একসঙ্গে রাতারাতি তুলে দেওয়া যায় না। প্রসঙ্গত, এর আগে হলদোয়ানিতে রেলের ২৯ একর জমি থেকে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। এরপরই এলাকাবাসী সেখানে প্রতিবাদে বসেছিলেন। ওই এলাকায় চারটি সরকারি স্কুল, ১১টি বেসরকারি স্কুল, ব্যাঙ্ক, ২টি জলাধার, ১০টি মসজিদ, চারটি মন্দির, প্রচুর দোকানপাট রয়েছে। কয়েক দশক ধরে সেখানে বসবাস করছেন হাজার হাজার মানুষ। এখন যারা আছেন, তাদের পূর্বপুরুষরাও এখানেই থাকতেন। তবে এভাবে আচমকা তাদের উৎখাত করে দেওয়ার নির্দেশে মাথায় হাত পড়েছিল তাদের। তবে সুপ্রিম নির্দেশে এই ৫০ হাজার জন স্বস্তি পাবেন। (আরও পড়ুন: বাসে মহিলা যাত্রীর সামনে পুরুষাঙ্গ প্রদর্শন করে কান্না ব্যক্তির! ভাইরাল ভিডিয়ো)

হলদোয়ানি রেলস্টেশনের পাশে প্রায় দু’কিলোমিটার জুড়ে গফুর বস্তি, ঢোলক বস্তি, ইন্দিরা নগর ও বনভুলপুরা এলাকার রেলের জমিতে থাকে ৪ হাজারেরও বেশি পরিবার। তবে গতবছরের ২০ ডিসেম্বর হাই কোর্ট রায় দিয়েছিল, ৭ দিনের মধ্যে রেলের এই জমি জবরদখল মুক্ত করতে হবে। এরপরই জেলা প্রশাসন সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে এলাকার মানুষকে বাড়িঘর খালি করে দেওয়ার নোটিস দেয়। ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি ছাড়ার সময় দেওয়া হয়েছিল এলাকাবাসীকে। এরপরই প্রতিবাদীদের তরফে থেকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পি এল নরসিমহা এবং বিচারপতি এসএ নাজিরের বেঞ্চ মামলার রায় শুনিয়ে হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।

আজকে মামলার শুনানির আগে গতকাল, বুধবার রেল এবং উত্তরাখণ্ড পুলিশের আধিকারিকেরা এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেই সময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এদিকে আজকে সুপ্রিম কোর্টের তরফে উত্তরাখণ্ড সরকার এবং ভারতীয় রেলকে এই মামলায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ ফেব্রুয়ারি। শীর্ষ আদালত বলে, ‘এই সমস্যার একটি মানবিক দিক রয়েছে।’ বেঞ্চের তরফে এটা মেনে নেওয়া হয় যে জমির প্রয়োজন রেলের থাকতে পারে। তবে শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, এই এলাকায় বসবাসকারীদের পুনর্বাসন সুনিশ্চিত করার পরই তাদের সেখান থেকে যেতে বলে পারে প্রশাসন।