Sharad Pawar on Unemployment: ‘বেকারত্বের কারণে পাত্রী খুঁজে পাচ্ছে না তরুণরা’, মন্তব্য শরদ পাওয়ারের

‘বিয়ের বয়স হয়ে গেলেও বেকারত্বের কারণে পাত্রী পাচ্ছেন না যুবকরা।’, এমনই মন্তব্য করে বেকারত্ব ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং মহারষ্ট্র সরকারকে তোপ দাগলেন শরদ পাওয়ার। এনসিপি প্রধানের কথায়, বেকারত্বের হার বৃদ্ধির জেরে সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকেই। এনসিপির জন জাগরণ যাত্রা প্রচারের সূচনার আগে বক্তৃতা দেন শরদ পাওয়ার। সেখানেই তিনি বলেন যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। শাসকদলের দিকে আঙুল তুলে শরদ পাওয়ারের অভিযোগ, মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের মতো আসল সমস্যাগুলি থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে।

শরদ পাওয়ার অভিযোগ করেন, ‘আমাদের কৃষকরা উৎপাদন বাড়িয়েছে বলে দেশের ক্ষুধার সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতায় থাকা লোকেরা কৃষকদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিতে প্রস্তুত নয়। বরং তাঁরা মধ্যস্বত্বভোগীদের স্বার্থ রক্ষা করছে এবং সাধারণ মানুষকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।’ শরদ পাওয়ার আরও বলেন, ‘আজকের তরুণরা শিক্ষিত এবং তাদের চাকরি চাওয়ার অধিকার রয়েছে। এক এক করে শিল্প মহারাষ্ট্রের বাইরে চলে যাচ্ছে। যেই শিল্পগুলি এখনও এখানে রয়েছে, সেগুলিকে কোনও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে না। নতুন ব্যবসা স্থাপনের কোনও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এর দেরে বেকারত্ব বেড়ে চলেছে।’

এনসিপি প্রধান আরও বলেন, ‘একবার বেড়াতে গিয়ে দেখি ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সি ১৫ থেকে ২০ জন তরুণ একটি গ্রামে অলস ভাবে বসে আছে। আমি তাঁদের জিজ্ঞেস করলাম, তারা কী করে। কেউ বলেন, তারা স্নাতক, কেউ বলেন, তারা স্নাতকোত্তর। তারা বিয়ে করেছেন কিনা জিজ্ঞেস করলে সবাই জানান যে তাদের বিয়ে হয়নি।’ শরদ পাওয়ার দাবি করেন, রাজ্যের বহু জায়গায় তরুণরা এই একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে শরদ পাওয়ার অভিযোগ করেন, ‘কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর নীতি গ্রহণের পরিবর্তে সম্প্রদায় ও ধর্মের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।’ এনসিপি প্রধান বলেন, ‘দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টির জন্য কিছু ইস্যু তৈরি করা হয়। তারা এটা কেন করছে? কারণ নির্বাচনের সময় তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ করতে পারেনি।’