দিলীপ ঘোষকে Go Back! জয় শ্রীরামের পালটা জয় বাংলা, কী করলেন BJP নেতা?

দেগঙ্গার চাকলায় গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেখানে মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে সার দিয়ে মানুষ। দিলীপ ঘোষ মন্দিরের দিকে এগোতেই শুরু হল গো ব্যাক স্লোগান। এর সঙ্গেই শুরু হয় জয় বাংলা স্লোগান। অন্যদিকে তিনি যখন মন্দির থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখনও শুরু হয় দিলীপ ঘোষ গো ব্যাক স্লোগান। এমনকী কয়েকজন দিলীপ ঘোষের সামনের গাড়ির কাছেও চলে আসেন। এরপরই নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে আসেন। তারা দিলীপ ঘোষের গাড়িকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান। তবে দিলীপ ঘোষ এদিন গাড়ি থেকে নেমে সেভাবে কোনও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাননি।

এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনা হল সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়। পালটা গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে পালটা কটাক্ষ করেছেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ।

রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মানুষ কিন্তু ক্ষুব্ধ হয়ে যাচ্ছেন। মানুষ ১০০দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না। আগামী দিন দিলীপবাবুরা সভা করলে মানুষ টেনে নামাবেন। এদিন টিএমসি নয়, সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। খুব দায়িত্ব নিয়ে বলছি।

এনিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, মন্দিরে বাইরে থাকা লোকজন এসব করেছেন।আর কী করতে পারে তারা! গো ব্যাক বলার জন্য় কোনও শক্তি লাগে না। বলতেই পারেন রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে।

এদিকে সম্প্রতি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন কয়েকজন। এরপর দৃশ্য়তই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মঞ্চেও উঠতে চাননি। পরে তিনি ঠায় মঞ্চের নীচে বসেছিলেন। এর আগেও তাঁকে দেখে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছিলেন স্থানীয়রা। এনিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন তিনি। একবার নয় একাধিকবার। বার বার মমতার সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। এমনকী শুক্রবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে সামনে দেখে পূর্ব মেদিনীপুরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছিলেন কয়েকজন। তবে কি এবার তারই পালটা হিসাবে দিলীপ ঘোষকে দেখে পালটা স্লোগান দিলেন তৃণমূলের লোকজন? এমনকী জয় বাংলা স্লোগানও দেওযা হয়েছে এদিন।

তবে মন্ত্রীর দাবি, এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নন। সাধারণ মানুষ ক্ষোভের জেরে এই কাজ করেছে। এমনকী আগামী দিনে দিলীপ ঘোষরা সভা করলে টেনে নামাবেন সাধারণ মানুষ, এমনটাও দাবি করেছেন খোদ মন্ত্রী।