Arambagh: মদ খেয়ে টলতে টলতে স্কুলে আসেন প্রধান শিক্ষক, স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ

দীর্ঘদিন ধরেই মত্ত অবস্থায় স্কুলে আসছেন হেডমাস্টার। এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। গ্রামবাসীদের দাবি, কোনওভাবেই প্রধান শিক্ষক মদ খেয়ে স্কুলে আসতে পারবেন না। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একজন প্রধান শিক্ষকের এরকম কীর্তিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি আরামবাগের মলয়পুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিহালপাড়া প্রাইমারি বিদ্যালয়ের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাঝেমধ্যেই মদ খেয়ে স্কুলে আসেন। মত্ত অবস্থায় অনেক সময় তিনি নিজেকে সামলাতে পারেন না। বৃহস্পতিবারও প্রধান শিক্ষক মদ খেয়ে স্কুলে এসেছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভ উগরে দেন অভিভাবকরা। এই অভিযোগে শুক্রবার তাঁরা স্কুলে গিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয়দের বক্তব্য, একজন শিক্ষক যদি মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসেন তাহলে পড়ুয়ারা কী শিখবে? তাঁদের আরও অভিযোগ, এনিয়ে প্রধান শিক্ষককে বহুবার সতর্ক করা হয়েছে কিন্তু তিনি কর্ণপাত করেননি। তাই এই বিষয়টি অবিলম্বে মীমাংসা করতে হবে। তাঁদের দাবি, প্রধান শিক্ষক এই স্কুলে আসতে পারবেন না। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে ততক্ষণ তালা খোলা হবে না। এদিন বিক্ষোভের জেরে কার্যত স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের।

প্রধান শিক্ষকের মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসার কথা স্বীকার করেছেন স্কুলের সহকারী এক শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘মদ্যপ অবস্থায় হেডমাস্টার মশাই মাঝেমধ্যেই স্কুলে আসেন। বৃহস্পতিবারও তিনি টলতে টলতে স্কুলে এসেছিলেন। কিন্তু, গ্রামবাসীদের প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারেননি।’ এমনকী এসআই, ডিআই প্রত্যেকেই এই বিষয়টি জানেন। তারপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। স্থানীয়দের বক্তব্য, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানাতে হবে তবেই সমস্যার সমাধান হবে। যদিও স্কুলের এআই কৌশিক মালিক বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মদ পান করার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মদ খেয়ে স্কুলে আসি না। সকালে খেয়েছিলাম। সেই গন্ধটাই ছড়াচ্ছে।’