World’s first vaccine for honey bees: ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এড়াতে এবার টীকাকরণ মৌমাছিদের, অভিনব পদক্ষেপ আমেরিকার

মৌমাছিদের জন্য বিশ্বের প্রথম টীকা অনুমোদন পেল আমেরিকায়। আমেরিকান ফাউলব্রুড রোগ থেকে মৌমাছিদের রক্ষা করতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার এমন পদক্ষেপ নিল। সম্প্রতি বিজনেস ওয়্যারের তরফে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, টীকা তৈরির জন্য দালান অ্যানিমাল হেল্থ নামক একটি আমেরিকান বায়োটেক সংস্থাকে অনুমোদন দিয়েছে সে দেশের কৃষি দপ্তর। 

মৌমাছিদের মধ্যে কেন মারাত্মক হয়ে উঠছে এই রোগ? 

পেনিব্যাসিলাস লার্ভা নামের একটি বিশেষ ব্যাকটেরিয়া থেকে আমেরিকান ফাউলব্রুড রোগটি ছড়ায়। ব্যাকটেরিয়াটির আক্রমণে দুর্বল হয়ে পড়ে মৌমাছিরা। চরম সংক্রমণে মৌমাছির মৃত্যু হয়। এটিকে প্রতিরোধ করতে মার্কিন প্রশাসনের তরফে টীকা তৈরির তোড়জোড় শুরু হল। এই টীকা মৌমাছির শরীরে প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে। এর ফলে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হলেও তা সামলে উঠতে পারবে মৌমাছির দল। ব্যাকটেরিয়াটির প্রাথমিক উৎপত্তি আমেরিকাতে হলেও দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের নানা দেশে। মৌমাছিদের মৃত্যুর কারণের ব্যাহত হচ্ছে মধু উৎপাদন। ক্ষতির মুখে পড়ছে মৌচাষ। এই সমস্যা এড়াতে টীকা তৈরির সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।

কীভাবে তৈরি হবে মৌমাছিদের টীকা?

প্রস্তুতকারীদের কথায়, মৌমাছিদের জন্য তৈরি টীকাতে থাকবে পেনিব্যাসিলাস লার্ভার মৃত কোষ। এই কোষই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে মৌমাছির শরীরে। একবার অনাক্রম্যতা তৈরি হয়ে গেলে মৌমাছি নিজে থেকেই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে। লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতেই টীকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। 

কীভাবে দেওয়া হবে টীকা?

টীকা দেওয়ার জন্য অভিনব উপায় বেছে নিয়েছে প্রস্তুতকারী সংস্থা। একবার তৈরি হয়ে গেলে এটি রাণী মৌমাছির খাবারে মিশিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই সমস্ত কর্মী মৌমাছির শরীরে পৌঁছে যাবে টীকা। আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রতিবেদনটি জানায়, প্রথমে কর্মী মৌমাছির সাহায্যে রয়্যাল জেলিতে টীকাটি মিশিয়ে দেওয়া হবে। এরপর সেটি নিয়মমতো রাণী মৌমাছিকে খাওয়ানো হয়। রাণীর জরায়ুতে গিয়ে সেটি ভেঙে যেতে থাকে। এভাবই টীকা ছড়িয়ে পড়বে সমস্ত মৌমাছির শরীরে। 

দালান অ্যানিমাল হেল্থের চিফ এক্সজিকিউটিভ অফিসার অ্যানেট ক্লেইসার সংবাদ সংস্থাকে জানান এই টীকা নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী আবিস্কার। তারঁ কথায়, মৌ ও মধু উৎপাদনে অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পরিবেশের কথা ভেবেও এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সারা বিশ্বের জনসংখ্যা দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে। একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে দ্রুত। এমন অবস্থায় খাদ্য সরবরাহ অক্ষুণ্ণ রাখতে মৌচাষে জোর দিতেই হবে।