পীরগাছায় এই প্রথম বৃহৎকারে সমলয় পদ্ধতিতে চারা রোপন

প্রকাশিত: ১:৩২ পূর্বাহ্ণ, ৯ জানুয়ারি ২০২৩

রংপুরের পীরগাছায় এই প্রথম বৃহৎকারে সমলয় পদ্ধতিতে চারা রোপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার দিনব্যাপী উপজেলার ছোট পানসিয়া গ্রামের কৃষক হযরত আলীর জমিতে এ পদ্ধতিতে চারা রোপন কার্যক্রম শুরু করেন উপজেলা কৃষি অফিস। চারা রোপন ও প্রদশর্নীর সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলার কৃষি প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আশরাফ্জ্জুামান সোহেল ও সঞ্জয় কুমার সরকার ও উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আব্দুল লতিফ, উপসহকারী কৃষি অফিসার অভিনাশ চন্দ্র সরকার ও পিংকী আক্তার।

রংপুর জেলার কৃষি প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ জানান, বর্তমান সরকার কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে টেকসই যান্ত্রিকীকরণরে বিভিন্ন পদক্ষপে গ্রহণ করেছেন। যার একটি হচ্ছে সমবায়ভিত্তিক সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতি। যেখানে একটি মাঠে বা মাঠের একটি অংশের সকল কৃষক সবাই মিলে একসঙ্গে একই জাতের ধান একই সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করবেন। এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে চারা তোলা, চারা রোপণ ও ধান কর্তন সব প্রক্রিয়া যন্ত্রের সাহায্যে সম্পাদন করা হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান বলেন, সমলয়ে ধান আবাদ করতে হলে চারা তৈরি করতে হবে ট্রেতে। ট্রেতে চারা উৎপাদনে জমির অপচয় কম হয়। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। কৃষক তার ফসল একত্রে মাঠ থেকে ঘরে তুলতে পারেন। কারণ একসঙ্গে রোপণ করায় সব ধান পাকবেও একই সময়ে। তখন ধান কাটার মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কর্তন ও মাড়াই করা যাবে। এসব কারণে সমলয় পদ্ধতিতে যন্ত্রের ব্যবহার সহজতর ও বৃদ্ধি পাবে। ধান চাষে সময়, শ্রম ও খরচ কম লাগবে। এ ক্ষেত্রে কৃষক লাভবান হবেন এবং কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ পদ্ধতির প্রবর্তন সহজ হবে। তিনি আরও বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা, সবই এক সময়ে একযোগে করা হবে। স্বল্প মানুষের মানুষের কাজটা করবে যন্ত্র। জমির অপচয় রোধে এ পদ্ধতিতে প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে লাগানো হবে ধানের বীজ। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা হবে। খরচ কম শুধু সামান্য পরিমাণে জৈব সার দিতে হয়।

উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম সমলয়ে চাষাবাদ কার্যক্রম প্রদর্শনী আকারে দেশের ১২টি জেলার ১২টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করে। এটি ব্যাপক সফলতা লাভ করায় ২০২০-২১ অর্থবছরেও কার্যক্রমটি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

শাকিল/সাএ