মিসাইল, যুদ্ধ সরঞ্জাম কিনতে ৪২৭৬ কোটি বরাদ্দ, প্রতিরক্ষায় আরও জোরদার ভারত

রাহুল সিং

আধুনিকতম মিসাইল ও যুদ্ধাস্ত্র কিনবে সরকার। প্রায় ৪,২৭৬ কোটি টাকার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের মিটিংয়ে (DAC) এব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। একাধিক সামরিক সিস্টেমের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল হেলিনা অ্যাডভ্য়ান্সড লাইট হেলিকপ্টারের সহায়তায় প্রায় সাত কিমি দূরে নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম।এমনটাই জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

DAC হল দেশের সমরাস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে দেশের একেবারে প্রথম সারির কমিটি। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, হেলিনা মিসাইল, সহযোগী উপকরণ কেনার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এই মিসাইল অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নেবে। এই ধরনের মিসাইলের প্রচলন ভারতীয় সেনার প্রতিরোধ শক্তিকে আরও শক্তপোক্ত করবে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই DAC মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন।

ভারতের ডিফেন্স প্রকিওরমেন্ট আইন অনুসারে অ্যাকসেপটেন্স অফ নেসেসিটি(AON) হল মিলিটারি যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে অন্যতম বড় ধাপ।

এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রমশ আত্মনির্ভরতা দিকে এগিয়েছে। এমনকী একাধিক অস্ত্র বিদেশ থেকে কেনার ক্ষেত্রে কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মূলত আত্মনির্ভরতাকে আরও শক্তপোক্ত করার উপরই জোর দিচ্ছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। একাধিক ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে সামরিক সরঞ্জাম। সেই সামরিক অস্ত্রে আরও বলীয়ান হচ্ছে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

এদিকে গত দুবছরে অন্তত ৪১১টি ক্ষেত্রে নানা ধরনের অস্ত্র ও সিস্টেমকে বিদেশ থেকে আনার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সামরিক অস্ত্রসজ্জায় এসেছে দেশীয় প্রযুক্তির ছোঁয়া।

এই হেলিনা সিস্টেম সমস্ত আবহাওয়ার উপযোগী এই সিস্টেম। দিনে রাতে সমানভাবে কাজ করে এই সামরিক সিস্টেম। শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্কের উপর আঘাত হানতে সক্ষম এই সিস্টেম। একদিকে যেমন এই সিস্টেমের মাধ্যমে মিসাইল সরাসরি আঘাত হানতে পারে। তেমনি ওপর থেকেও আঘাত হানতে পারে এই সিস্টেমের আওতায় থাকা মিসাইল।

হেলিনা মিসাইলের ক্ষেত্রে ছাড়়পত্র দিয়েছে ডিএসি। অন্য়দিকে খুব কম পাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ব্রহ্মস লঞ্চার, শিবালিক শ্রেণির যুদ্ধ জাহাজে ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেমকে লাগু করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

IDDM( Indigenously Designed Developed and Manufactured) ক্যাটাগরিতেও সামরিক সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে ছাড়পত্র মিলেছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ভারতীয় ভেন্ডরের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে বলা হয়। গোটা চুক্তির মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেশীয় সরঞ্জামের উপর জোর দেওয়া হয়।