Justice Rajshekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার এজলাস কী কারণে বয়কট? কী বলছেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা?

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আইনজীবীদের একাংশ। বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের দাবি, বিশেষ বিশেষ মামলা গুলির ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করছেন বিচারপতি। তাই অবিলম্বে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাস থেকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং অতি সক্রিয়তার মামলা সরাতে হবে। এই দাবিতে আইনজীবীদের একাংশ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাস বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও আইনজীবীদের বার অ্যাসোসিয়েশন এই সিদ্ধান্তের কথা অস্বীকার করেছে।

কী কারণে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাস বয়কট?

হাইকোর্ট সূত্রের খবর, গত কয়েক মাস ধরেই বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন মূলত তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। তাঁদের বক্তব্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজ্যের বিপক্ষে রায় দিচ্ছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মামলাগুলির ক্ষেত্রে তাঁর পক্ষেই সব সময় রায় দিচ্ছেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের ১৩ নম্বর কোর্টে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা বা অতিসক্রিয়তার মামলাগুলির শুনানি হচ্ছে। তাই এই সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি রাজকুমার মান্থার এজলাস থেকে অন্যত্র সরানোর জন্য বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল পন্থী আইনজীবীরা। এই দাবিতে তাঁরা প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে, বিজেপি সমর্থিত আইনজীবীরা এর ঘোর বিরোধী। ফলে তারা তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের সিদ্ধান্তে সহমত নন। তাঁরা চাইছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসেই এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হোক।

এদিকে, বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাস বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আইনজীবীরা। তৃণমূল পন্থী আইনজীবীদের বক্তব্য, বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাস বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অরুণাভ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘বারের পক্ষ থেকে এই ধরনের কোনও রকমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যারা এজলাস বয়কট করছেন তাঁরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই কাজ করছেন। বার এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’