Woman with rare heart shaped uterus: হৃদপিন্ডের মতো আকৃতি জরায়ুর,নজির গড়ে যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন কারেন

জরায়ু না হৃদপিন্ড হঠাৎ করে দেখলে তা বুঝে ওঠা মুশকিল। তবে এমন বিরল আকৃতির জরায়ুই জন্ম দিল যমজ শিশুর। ২৫ বছর বয়সি কারেন ট্রয় ম্যাসাচুসেটস-এর নর্থবরোর বাসিন্দা। গর্ভবতী হওয়ার আগে নিজের জরায়ুর আকৃতি সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না। গর্ভবতী হওয়ার পর কারেন ও তাঁর স্বামী জানতে পারেন, দুই যমজ সন্তানের মা-বাবা হতে চলেছেন তাঁরা। তবে কারেনের জরায়ুর আকৃতি হৃদপিন্ডের মতো।

সাধারণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি ১০০০ জন মহিলার মধ্যে চারজনের জরায়ু এমন আকৃতির হয়ে থাকে। এমন জরায়ুকে বাইকর্নুয়েট জরায়ু বলা হয়। সবসময় স্ক্যান রিপোর্টে ধরা পড়ে বলে না এমন আকৃতির কথাও অজানাই ছিল কারেনের। তবে আসল জটিলতা অন্য ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এমন জরায়ুতে যমজ সন্তান ধারণের নজির প্রায় বিরল। ৫০০ মিলিয়ন গর্ভধারণের ঘটনার মধ্যে একটি ঘটনা এমন দেখা যায়। গর্ভবতী হওয়ার পর এই কথা শুনে অবাক হয়ে যান কারেন ও তাঁর স্বামী।

সংবাদপত্র মিররকে কারেন জানান, ‘ জরায়ুর চেয়েও আমার বেশি চিন্তা ছিল দুই সন্তানকে নিয়ে । তারা নিরাপদ থাক, এটাই আমি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম।’ তাঁর কথায়, ‘আমি প্রথমে বিশ্বাস করিনি যে আমার জরায়ু হৃদপিণ্ডের আকৃতির। তাই আবার যাচাই করার জন্য অন্য জায়গায় স্ক্যান করাই। গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন আমাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ এই ধরনের গর্ভাবস্থা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। চিকিৎসকদের কথায়, এমন গর্ভাবস্থা একেবারেই বিরল। গর্ভাবস্থার পর ৩৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ক্যারেনের অবস্থা বেশ স্বাভাবিক ছিল। এরপর যখন প্রিএক্ল্যাম্পসিয়ার সমস্যা দেখা দেয়, তখন তাঁকে অস্ত্রপচারের জন্য নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রিএক্ল্যাম্পসিয়া হলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। সেটি এড়াতেই তাঁকে চিকিৎসকদের চোখে চোখে থাকতে হয়।

শেষ পর্যন্ত সব বাধা বিপত্তি কাটিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর শিশু রায়ান ও রাইলিনের জন্ম হয়। ২৭ দিন এনআইসিইউ-তে কাটানোর পর অবশেষে দুই একরত্তি বাড়ি ফেরার অনুমতি পান। তবে কারেনকে সঙ্গে সঙ্গে ছাড়া হয়নি। চারদিন পর তিনি ছাড়া পান হাসপাতাল থেকে। কারেনের কথায়, ‘প্রথম ২৪ ঘন্টা আমার জন্য সত্যিই কঠিন ছিল। প্রিএক্ল্যাম্পসিয়ার খিঁচুনি বন্ধ করার জন্য আমাকে একটি মেশিনে থাকতে হয়েছিল। পাশাপাশি শ্বাসের সমস্যা কমাতে যমজ সন্তানদের ওই সময় এনআইসিইউতে থাকতে হয়।’