Reel: পড়া বাদ দিয়ে রিল তৈরির নেশা, মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমানে আত্মঘাতী ছাত্রীর

উদ্বেগের ঘটনা মুর্শিদাবাদের বড়ঞা এলাকায়। সমাজমাধ্যমে রিল বানিয়ে তা পোস্ট করার শখ ছিল মুর্শিদাবাদের ওই ছাত্রীর। এদিকে পড়াশোনা বাদ দিয়ে তাতে মেতে থাকা নিয়ে বকুনি দিয়েছিল মা। আর তারপরই ঘর থেকে উদ্ধার হল ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম ঋতূ বাগদি। ১৪ বছর বয়সেই নিভে গেল এক ছাত্রীর জীবন প্রদীপ। মনে করা হচ্ছে মায়ের বকুনি খেয়েই অভিমান হয়েছিল ওই ছাত্রীর। তারপরই সে চরম পথ বেছে নেয়। এর সঙ্গেই বড় প্রশ্ন উঠল বাংলা জুড়ে মোবাইলের ভয়াবহ নেশার জেরে আর কতজনকে এভাবে হারাতে হতে হবে?

সূত্রের খবর, ছোট ছোট রিল বানাত ঋতূ। সেসব সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করত সে। মাঝেমধ্যে মোবাইল খুলে দেখত কতজন লাইক করছেন। কতজন কমেন্ট লিখছেন। একেবারে সেজেগুজে সে এই রিল বানাত। ধীরে ধীরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল ঋতূ। কিন্তু অভিভাবকদের উদ্বেগ ছিল হয়তো এভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে পড়াশোনা। পড়াশোনা বাদ দিয়ে রিল নিয়ে মেতে থাকা কমাতে বার বারই বলতেন অভিভাবকরা।

এদিনও মায়ের সাজগোজের জিনিস নিয়ে বিছানায় বসেছিল ওই ছাত্রী। মনে করা হচ্ছে নতুন কোনও রিল বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। ভিডিয়ো করা শুরুও করে দিয়েছিল একটু পর থেকে। কিন্তু পড়াশোনা বাদ দিয়ে মেয়ের এই ভিডিয়ো করা নিয়ে বার বার আপত্তি করতেন মা। আসলে মা স্বপ্ন দেখতেন মেয়ে পড়াশোনা করে বড় হবে। সামনেই মাধ্যমিক। পড়াশোনা না করলে পরীক্ষা খারাপ হতে পারে এমন শঙ্কাও তৈরি হয়েছিল। তার জেরেই তিনি ভিডিয়ো করতে বারণ করতেন।

এদিকে এদিনও তার মা পড়াশোনা বাদ দিয়ে ভিডিয়ো করতে বারণ করেছিলেন। এরপর তিনি জলের পাত্র নিয়ে জল তুলতে বেরিয়ে যান। অন্য়দিকে মা বেরিয়ে যেতেই ঘরে খিল দেয় মেয়ে। এর কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে মেয়ের কোনও সাড়াশব্দ পাননি মা। এরপরই মা কোনওভাবে দেখতে পান ঘরের মধ্য়ে সিলিং থেকে ঝুলছে মেয়ে। চিৎকার করে ওঠেন মা। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তারাই মেয়েকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।

মর্মান্তিক পরিণতি কিশোরী কন্যার। পড়াশোনার ক্ষতি যাতে না হয় সেকারণেই অভিভাবকরা বার বার বারণ করতেন। কিন্তু রিল বানানোর নেশা যেন বার বারই বেড়ে যাচ্ছিল ওই ছাত্রীর। আর তারই পরিণতি হল মর্মান্তিক।