curd good in winter: শীতে টক দই খাচ্ছেন? আদৌ কি এখন দই খাওয়া ভালো? বিশেষজ্ঞদের মতামত জেনে নিন

শেষ পাতে একটু টক দই খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। কারওর আবার সারা বছরই টক দই খাওয়ার অভ্যাস আছে। আমাদের দেশে নিরামিষ বা আমিষ রান্নাতেও এর ব্যবহার হয়। আবার অনেকে দুধের বিকল্প হিসেবেওরোজকার ডায়েটে এটি রাখেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার।

শহরে জাঁকিয়ো বসছে শীত। এই সময় টক দই কোনও সমস্যা হবে না তো? এমন প্রশ্ন অনেকের মনে জাগে। আপনিও যদি একই কথা ভেবে থাকেন. তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই।

​আয়ুর্বেদ কী বলছে এই বিষয়ে?

আয়ুর্বেদ মতে, শীতকালে টক দই না খাওয়াই ভালো। অনেকেরই অল্পেতেই ঠান্ডা লাগার প্রবণতা রয়েছে। এমন প্রবণতা থাকলে টক দই শ্লেষ্মার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয়। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী টক দই হল কফা দশার অনুঘটক। তাই এমন সমস্যা থাকলে দই এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে। যাদের হাঁপানি, সর্দিকাশি বা সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি মোটেই ভালো নয়। এছাড়াও,যারা শ্বাসকষ্টে ভোগেন, তাদের শীতের রাতে দই এড়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

এই ব্যাপারে বিজ্ঞানের কী মত?

বিজ্ঞানের মতে, দই অন্ত্রের জন্য উপকারি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভালো জীবাণু রয়েছে যা অন্ত্রে হজম প্রক্রিয়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি স্বাস্থ্য ভালো রাখে। টক দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি 12 এবং ফসফরাস হাড় মজবুত রাখে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, দইয়ের সঙ্গে শীতের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে বিকেলের পর থেকে দই না খাওয়াই ভালো। সন্ধ্যের পর দই খেলে শ্লেষ্মা তৈরি হয়। এতে যাদের অ্যালার্জি এবং হাঁপানি আছে তাদের যথেষ্টে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। আবার অনেক বিশেষজ্ঞদের কথায়, দইয়ের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে। ঠান্ডা লাগলে এটি সেরে উঠতে সাহায্য করে।

তবে শীতকালে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা দই বার করে খেলে শারীরিক সমস্যা হবেই। এমনকী ঠান্ডা লাগাও অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। এছাড়াও,সর্দিকাশিও গলা ব্যথা হতে পারে। তাই শীতে দই খেতে হলে সবসময় ফ্রিজ থেকে বের করে কিছুক্ষণ এমনি রেখে দিন। একবার ঘরের তাপমাত্রায় এসে গেলে তারপর খান। এতে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অনেকটাই কেটে যাবে।