অ্য়াপটিটিউড টেস্টই হয়নি, চাকরি প্রাথমিকে, বিস্ফোরক দাবি, কী নির্দেশ বিচারপতির?

এবার প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি করলেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। তাঁরা দাবি করেছেন, ২০১৬ সালে অ্য়াপটিটিউড টেস্ট(Aptitude test) ছাড়াই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। সেই টেস্টের কোনও বালাই ছিল না ইন্টারভিউতে। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউতে অ্য়াপটিউড টেস্ট নিতে হয়। কিন্তু সেটাই হল না?

এদিকে এনিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কাছে সাতদিনের মধ্যে বক্তব্য জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।অন্যদিকে এবছর কোন পদ্ধতিতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছে সেটাও জানাতে বলা হয়েছে। অ্য়াপটিটিউড টেস্ট ব্যাপারটি কী?

এই টেস্টের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের পড়ানোর দক্ষতা যাচাই করে দেখা হয়। এক্ষেত্রে চক ডাস্টার , ব্ল্যাকবোর্ড, পেনসিল ব্যবহার করে তাকে অ্যাপটিটিউড টেস্টে অংশ নিতে হয়। শুধু প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নয়, একাধিক চাকরির পরীক্ষাতেই এই ধরনের টেস্ট নেওয়া হয়। মূলত এক্ষেত্রে সেই সংশ্লিষ্ট ফিল্ডে তিনি কতটা দক্ষ সেটাই যাচাই করে দেখা হয়। এটা কোনও বুদ্ধিমত্তা বা জ্ঞান সম্পর্কিত পরীক্ষা ঠিক নয়। শিক্ষকের চাকরির ক্ষেত্রে এই টেস্টের মাধ্যমে তার পড়়ানোর স্বাভাবিক দক্ষতাটি যাচাই করে দেখা হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় এই অ্য়াপটিটিউড টেস্ট বেশিরভাগ জেলাতে নেওয়া হয়নি।

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিযোগের অন্ত নেই। আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগের জেরে শিক্ষা দফতরের একের পর এক কর্তাকে গরাদের ওপারে পাঠিয়েছে আদালত। এমনকী পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যও বর্তমানে জেল খাটছেন।

এবার প্রশ্ন উঠছে অ্যাপটিটিউড টেস্ট যদি না হয়ে থাকে তবে চাকরিপ্রার্থীদের কীসের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হল? তবে কি অ্যাপটিটিউড টেস্টের জায়গায় অন্য কোনও পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল? যদি না হয়ে থাকে তবে বড়সর অনিয়মের অভিযোগ এবার সামনে।

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। স্বজনপোষন, টাকার বিনিময়ে চাকরি সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল বিস্ফোরক অভিযোগ। এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কী উত্তর দেয় সেটাই দেখার।

এক্ষেত্রে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে প্রাথমিকে নিয়োগকে কেন্দ্র করে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি এই নিয়মকে মান্যতা না দেওয়ার পেছনে বিশেষ কোনও কারণ রয়েছে? নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও গভীর কোনও কারণ? যদি এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয় তবে বিরাট অনিয়মের পর্দাফাঁস হতে পারে এবার।