এক সময়ে পৃথিবীর সকলের মৃত্যু হয়েছিল অতিবেগুনি রশ্মিতে! চমকে দিল নতুন আবিষ্কার

সূর্য থেকে উচ্চতরবেগুনি রশ্মি বিকির প্রয়োগের ফলে গণ বিলুপ্তির ঘোষণা ছিল। এমন পরিস্থিতিতেই পাওয়া যাবে একদল পরামর্শদাতা নতুন গবেষণায়। গবেষণার ফলাফল প্রকাশের গণবিলুপ্তির ঘোষণা, সূর্য থেকে শক্তি নিয়ন্ত্রণে পরবেগুনি শ্মি বিকির ফলাফল প্রকাশ গণনা বিলুপ্তির ঘোষণা। প্রায় ২৫০ বছর আগে এই কাঁই কাঁই দিয়েছিল আমাদের গ্রহকে।

এই মাসের গোড়ায় সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে ২৫০ মিলিয়ন বছরের পুরানো পাথরে পরাগ সংরক্ষিত রয়েছে। এই ধরনের পাথরে সানস্ক্রিনের মতো কাজ করে এমন যৌগ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি (UV-B) বিকিরণ নিজেদের রক্ষা করতে গাছপালা এটি উৎপাদন করত। এর আগের গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে এই সময়, গ্রহটি ‘এন্ড-পারমিয়ান’ গণবিলুপ্তির পর্বের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এটি সবচেয়ে বড় পাঁচটি গণবিলুপ্তির ঘটনা। এর ফলে সেই সময় পৃথিবীর ৮০ শতাংশেরও বেশি সামুদ্রিক এবং স্থলজ প্রজাতির ক্ষতি হয়েছিল।

শেষ গবেষণায় আমেরিকার নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা পরাগ সংরক্ষিত শস্য উদ্ভিদের জীবাশ্মে থাকা সানস্ক্রিন জাতীয় যৌগ শনাক্ত করতে একটি নতুন পদ্ধতির আবিষ্কার করেন। এর আগের গবেষণাগুলিতে বলা হয়েছিল, এই গণবিলুপ্তির ঘটনায় জীববৈচিত্র্যের ভয়ঙ্কর বিপর্যয় হয়। এই বিপর্যয় আদতে একটি প্যালিওক্লাইমেট জরুরি অবস্থার প্রতিক্রিয়া ছিল। মহাদেশ জুড়ে বিশাল অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এই জরুরি অবস্থা তৈরি হয়। এই অগ্ন্যুৎপাত আধুনিক সাইবেরিয়ার বেশিরভাগ অংশ ঢেকে ফেলেছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে যে ঘটনার সময় বিশাল অগ্ন্যুৎপাতের ফলে জল আম্লিক হয়ে যায়। এই কারণেই সামুদ্রিক প্রজাতির প্রায় ৮০ শতাংশ প্রাণী মারা যায়। তবে স্থলজগতের প্রাণীরা কীভাবে এর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা গবেষকরা সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারেননি।

এর আগে কয়েক দশকের দীর্ঘ গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা উল্লেখ বলেছিলেন, এই গণ বিলুপ্তির সময় আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপে পৃথিবীর ভিতরের বায়ুমণ্ডলে বিপুল পরিমাণে কার্বন নিসৃত হয়। এর ফলে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরি হয়। যা বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ হয়েছিল। গবেষণায় আরও বলা হয়, এই বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে পৃথিবীর ওজোন স্তর নষ্ট হয়ে যায়। এবারে জীবাশ্মে বিকৃত পরাগ শস্যের হদিশ পাওয়ার এই তত্ত্বই আরও জোরালো হল।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup