কেঁচো খুঁড়তে কেউটে, মালদায় আবাস তালিকা থেকে বাদ গেল বিহারের ২৭ জন বাসিন্দার নাম

কেন্দ্রীয় দলের সামনে হাতে নাতে ধরা পড়ার পর আর উপায় ছিল না। মালদায় আবাস যোজনার তালিকা থেকে ২৭ জনের নাম বাদ দিতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত প্রশাসনকে। এই ঘটনায় প্রশাসনের তরফে এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের ওই একই যুক্ত, কাজ করতে গেলে ভুল হয়।

মঙ্গলবার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর প্রকৃত প্রাপকরা পেয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের ২ সদস্য। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, লাগোয়া বিহারের কাটিহার জেলার দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য শ্যাম যাদবের নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। এর পর পশ্চিমবঙ্গের সীমানা পেরিয়ে বিহারের বহরশাল ঢোকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে শ্যাম যাদবের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর মা নিভা দেবী বলেন, ‘আমার ছেলের নাম বাংলার আবাস যোজনার তালিকায় উঠেছে তা জানি। কিন্তু টাকা এখনো পাইনি।’ তিনি জানান, তাঁদের বাড়ি যেখানে তার দখল নিয়ে বাংলা – বিহারের মধ্যে বিবাদ রয়েছে।

এর পরই মুখ বাঁচাতে বিডিওকে ঘটনার তদন্তভার দেন জেলাশাসক। তাতে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়েছে কেউটে। জানা গিয়েছে, শুধু শ্যাম যাদব নয়, বিহারের বাসিন্দা মোট ২৭ জনের নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আবাস যোজনার তালিকায়। এর পর সেই নামগুলি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রশাসন।

ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে বিহারের বাসিন্দাদের নাম উঠল পশ্চিমবঙ্গের আবাস যোজনার তালিকায়। কেন্দ্রীয় দল না এলে কী ভাবে জানা যেত এই বেনিয়মের কথা। ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক প্রভাব আছে কি? যে কর্মীদের গাফিলতিতে এমন তালিকা তৈরি হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ করবে প্রশাসন?