‘মহানগর ২’সহ ৮ কনটেন্ট দিয়ে ‘হইচই’ চমক

ভারতের জি-ফাইভ নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিলেও আরেকটি প্ল্যাটফর্ম হইচই ক্রমশ জায়গা করে নিচ্ছে বাংলাদেশে। ওয়েবে সফল বাংলা কনটেন্টের বেশিরভাগই এখন ওয়েব প্ল্যাটফর্মটির দখলে। যার সিংহভাগ আবার বাংলাদেশের নির্মাতা-কুশলীদের দৌলতে।

‘মহানগর’ থেকে ‘কারাগার’ হয়ে ‘কাইজার’- অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেয়েছে সিরিজগুলো।

তারই রেশ থাকবে নতুন বছরেও। ২০২৩ সালে হইচই সূচিতে রয়েছে ৮টি বাংলাদেশি কনটেন্ট। যেগুলো নির্মাণে আছেন তানিম নূর, সৈয়দ আহমেদ শাওকী, আশফাক নিপুণ ও কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। পাশাপাশি নতুন যুক্ত হচ্ছে সানী সানোয়ার, ফয়সাল আহমেদ, অনম বিশ্বাস, সাফায়েত মনসুর রানা, তানিম রহমান অংশুদের মতো পরীক্ষিত নির্মাতাদের কনটেন্ট।

চলতি বছর হইচই অরিজিনাল সিরিজগুলোর মধ্যে থাকছে- মিশন হান্টডাউন, অ্যা কমন ম্যান, বুকের মধ্যে আগুন, রঙ্গিলা কিতাব, কাইজার লেভেল টু, মহানগর ২, অদৃশ্য এবং ডেল্টা ২০৫১।

২০২৩ সালে হইচই-এ প্রথমবারের মতো যুক্ত হলেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও বিদ্যা সিনহা মীম। ফিরতে দেখা যাবে আজমেরী হক বাঁধন এবং মোশাররফ করিমকে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছে হইচই কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিষ্ণু কান্ত মোহতা বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই ভাষাভিত্তিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় হতে পেরেছি। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা বাংলাদেশ থেকে নির্মাণ করা ম্যাসিভ হিট সিরিজসহ ১৩০টির বেশি অরিজিনাল সিরিজ রিলিজ করেছি।’

আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে যাত্রা করি ২০১৯ সালে যখন ওটিটি সম্পর্কে পরিষ্কার কোনও ধারণা ছিল না। কিন্তু আমরা দেখেছি যে এ দেশ থেকে চমৎকার কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে। আমরা জানতাম এ দেশের বাজারে আমাদের আসতে হবে। এ দেশে কাজ শুরু করার পর আমরা দারুণ কিছু কনটেন্ট নির্মাণ করেছি, যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এবং প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের এই সমৃদ্ধির পেছনের মূল কারিগর আমাদের সাবস্ক্রাইবাররা। এ কারণে আমরা এ দেশ থেকে আরও আটটি নতুন কনটেন্ট রিলিজ করছি এবং এর সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।’

হইচই বাংলাদেশের দেশীয় অধিকর্তা সাকিব আর খান বলেন, ‘‘হইচই বাংলাদেশ ২০১৯ সালে ‘ঢাকা মেট্রো’ সিরিজটি রিলিজের মাধ্যমে যাত্রা করে। এরপর আমরা আরও ১০টি সিরিজ রিলিজ করেছি, যা বিশ্ব জুড়ে সমাদৃত হয়েছে। একটি ব্র্যান্ড হিসেবে হইচইয়ের লক্ষ্য সারা পৃথিবীতে বাংলা ভাষায় কথা বলা, মানুষের কাছে তাদের নিজের ভাষায় মানসম্মত বিনোদন পৌঁছে দেওয়া। দর্শকদের জন্য হইচই সহজলভ্য করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের সঙ্গে একাত্ম হয়েছি। পাশাপাশি আমরা দর্শকদের জন্য পছন্দসই কনটেন্ট নির্মাণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের খ্যাতিমান নির্মাতা এবং অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা এ বছর আটটি কনটেন্টের ঘোষণা দিচ্ছি এবং ভবিষ্যতে এর সংখ্যা আরও বাড়বে।’’