Lakshmi Bhandar: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা স্কুল ছাত্রের অ্যাকাউন্টে, ওই টাকা দাবি TMC উপপ্রধানের

গৃহবধূদের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকছে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের অ্যাকাউন্টে। যে অ্যাকাউন্টটি সে করছিল সে সরকারি ভাতা পাওয়ার জন্য। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার কামদেবপুরে। কী ভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ওই ছাত্রের অ্যাকাউন্টে ঢুকল তা নিয়ে রীতিমতো হতবাক ছাত্রের পরিবার।

চাঞ্চল্যের এখানেই শেষ নয়। প্রধানকে গিয়ে এই সমস্যার কথা জানালে তিনি উল্টে বলেন ওই টাকা তুলি তাঁকে দিয়ে দিতে। ছাত্রটির পরিবারের অভিযোগ তা করতে রাজি না হওয়ায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বৃত্তির টাকা তুলতে পারছে না ওই ছাত্রটি।

ওই স্কুল ছাত্রের দাদু শুকদেব দাস জানান, উপপ্রধানের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র থেকে নাতি অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়। তাতে কয়েক দফায় স্কুল থেকে পাঠানো ২০০০ টাকা জমা পড়েছে। কিন্তু টাকা তুলতে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রের দাদু দেখেন সেখানে আট হাজার টাকা জমা পড়ছে। হঠাৎ অ্যাকাউন্টে এত টাকা দেখে হতবাক হয়েছে যান তাঁরা। পরে জানতে পারেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকেছে ওই অ্যাকাউন্টে। কিন্তু কী ভাবে অ্যাকাউন্টে ওই টাকা এল তা জানতে যান উপপ্রধান গৌরী দুয়ারীর কাছে। উপপ্রধান দাবি করেন ওই টাকা তাঁকে তুলে দিতে হবে। তবে দুই হাজার টাকা ছাত্রটি পাবে। 

দাদুর অভিযোগ, বেশ কয়েক মাস ধরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকছে ওই অ্যাকাউন্টে। উপপ্রধানকে সেই টাকা তুলে দিতে স্বীকার করেছেন বলেন তাঁর নাতি অ্যাকাউন্টটি বন্ধই করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন  দাদু। 

এ বিষয়ে গৌরী দুয়ারীর কাছে জানতে চাওয়া হলে কিছু বলতে চাননি। স্থানীয়দের অভিযোগ যেহেতু গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র চালান উপপ্রধান, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এই দুর্নীতি করছেন তিনি।