Thyroid awareness month: থাইরয়েড সচেতনতা মাস: কোন কোন খাবারে বাড়ে থাইরয়েডের আশঙ্কা

প্রতি বছর জানুয়ারী মাস থাইরয়েড সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু খাবার যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, সয়াবিন, পীচ, চিনাবাদাম থাইরয়েড হরমোন ক্ষরণে বাধা দেয়। এর ফলে হাইপোথাইরয়েডিজম হতে পারে। এছাড়াও থাইরয়েড হরমোনের মূল কাজগুলিকে প্রভাবিত করে খাবারগুলি। থাইরক্সিন হরমোন বিপাকের হার, হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা, খাবার হজমের প্রক্রিয়া, পেশির স্বাস্থ্য ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ঘাড়ের সামনের দিকে থাকা থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরে থাইরয়েড হরমোনের প্রধান উৎস। হাইপোথ্যালামিক থাইরোট্রপিন রিলিজিং হরমোন (টিআরএইচ) আমাদের পিটুইটারি গ্রন্থিকে থাইরয়েড উত্তেজক হরমোন (টিএসএইচ) ক্ষরণ করতে উদ্দীপিত করে।

থাইরয়েড আমাদের ঘাড়ের সামনের অংশে থাকা প্রজাপতির আকৃতির গ্রন্থি। এখানে তৈরি হরমোন তৈরি করে শরীরের প্রতিটি কোষ, টিস্যু এবং অঙ্গে প্রভাব ফেলে। শরীরকে সঠিকভাবে সব কাজ করতে বড় ভূমিকা পালন করে এই হরমোন। কিন্তু থাইরয়েডের সমস্যা এখন প্রায়ই দেখা যায়।

উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের সঙ্গে সঙ্গেই আসে থাইরয়েডের সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের কথায়, প্রতিদিনের ব্যায়াম করলে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই প্রচুর টাটকা শাকসবজি, ফলমূল,প্রোটিন ও ভালো ফ্যাটযুক্ত খাবার ডায়েটে রাখা উচিত। এছাড়াও থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুমান।

মুম্বইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রবীণ পুষ্টিবিদ চিকিৎসক বর্ষা গোরে জানাচ্ছেন, ‘হাইপারথাইরয়েডিজমের রোগীদের নির্দিষ্ট ডায়েটের প্রয়োজন নেই, তবে পরামাণ বুঝে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। এতে রোগও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। খাবারে আয়োডিনের পরিমাণ পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। আয়োডিনের সবচেয়ে সাধারণ উৎস হল লবণ।’

এর পাশাপাশি তিনি সতর্ক করেন, ‘প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন ময়দা, স্টার্চ, মিষ্টি হাইপারথাইরয়েডিজমের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। এতে তাদের ওজন বেড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি অলসতা বাড়ে। থাইরয়েডের কার্যক্ষমতা আরও কমে যায়। ডায়েটের বিষয়ে চিকাৎসক জানান, জিঙ্ক এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার এই ধরনের রোগ সারাতে খুব কাজ দেয়। পাশাপাশি রোগ থেকে তৈরি হওয়া ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে।

কেডিএএইচ-এর ডায়েটেটিক্স অ্যান্ড নিউট্রিশনের পরামর্শদাতা প্রতিক্ষা কদমের মতে, হাইপোথাইরয়েড রয়েছে এমন ব্যক্তিদের সয়াবিন, চিনাবাদাম, নাশপাতি, পীচ, স্ট্রবেরি, পালং শাক, আলু, ব্রকলি, ব্রাসেলস স্প্রাট, বাঁধাকপি, ফুলকপি এড়িয়ে চলা উচিত। তার কথায়, এছাড়াও ডিমের কুসুম, মাটন, শুয়োরের মাংস এড়িয়ে চলতে হবে।

 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup