শুক্রগ্রহে যান পাঠাবে নাকি ভারত? সাবধানী উত্তর ইসরো কর্তার

শুক্র গ্রহে কি ISRO যান পাঠাচ্ছে? এক অুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞান কর্মসূচীর উপদেষ্টা পি শ্রীকুমার। তিনি জানালেন, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র মেলেনি। ফলে মিশন আগামী ২০৩১ সাল পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে। ‘দ্য হিন্দু’র এক প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

এতদিন অবশ্য আরও আগেই এই অভিযান হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। শুক্রযান-1 মিশনের সম্ভাব্য তারিখ হিসাবে ডিসেম্বর ২০২৪-এর উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই ২০১২ সাল থেকেই এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। ২০১৭-১৮ সালে মহাকাশ খাতে আরও বেশি বাজেট বরাদ্দ করে মোদী সরকার। আর তারপরই বিষয়টি বাস্তবায়নের প্রাথমিক কাজ শুরু করে ISRO । যদিও আপাতত সেই পরিকল্পনা অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে। আরও পড়ুন: ISRO Gaganyaan: ২০২৩ সালেই মহাকাশে নভোশ্চর পাঠানোর ‘ট্রায়াল’ দেবে ভারত

৯ মাসে একবার লুযোগ

পৃথিবী থেকে শুক্র গ্রহে যান পাঠাতে হলে, নির্দিষ্ট উৎক্ষেপণের সময়েই তা করতে হবে। আর সেই সময় আসে প্রতি ১৯ মাস অন্তর একবার। ফলে, ২০২৪ সালের সেই আদর্শ সময়টি ‘মিস’ করে গেলে, আবার ১৯ মাস অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাত্, ২০২৬ সালে ফের ব্যাকআপ লঞ্চের সুযোগ মিলবে।

তবে এখানে আরও একটি ‘টুইস্ট’ রয়েছে। প্রতি ৮ বছর অন্তর আরও ভাল একটি সময় আসে। সেই সময়ে পৃথিবী ও শুক্রগ্রহ এমন একটি অবস্থানে থাকে যে, টেকঅফ ও শুক্র পর্যন্ত পৌঁছনোর ক্ষেত্রে অনেকটাই কম জ্বালানি খরচ হয়। তাই সেই ‘উইন্ডো’টি ধরতে পারলেই কেল্লা ফতে।

সেই কারণেই একেবারে সবার আগে ২০২৩ সালেই লঞ্চের কথা ভাবা হয়েছিল। তবে সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। কোভিডের কারণে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। আপাতত ২০৩১-এর দিকেই তাই তাকিয়ে থাকতে হবে। এই সময়ের মধ্যেই কেন্দ্রের সবুজ সংকেত ও তহবিল পেতে হবে ISRO-কে। আর তারপর পুরোদমে অ্যাসেম্বলি, টেস্টিংয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

সেই একই ২০৩১ সালে মার্কিন মুলুকের মহাকাশ সংস্থার VERITAS এবং ইউরোপের EvVision অভিযান হওয়ার কথা। দু’টি অভিযানেই শুক্র গ্রহে যান পাঠানো হবে। আবার চিন সম্ভবত ২০২৬ সালে শুক্র গ্রহে যান পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আরও পড়ুন: ISRO-র জ্বালানি ব্যবহারের স্বাধীনতা বাড়াল কেন্দ্র, লক্ষ্য ব্যবসা বৃদ্ধির

শুক্রযান মিশনের মাধ্যমে একটি অরবিটার পাঠানো হবে। তাতে একটি হাই-রেজোলিউশন সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার এবং একটি গ্রাউন্ড-পেনিট্রেটিং রাডার থাকবে। আপাতত এই দু’টি পেলোড নিশ্চিত। গবেষকরা জানিয়েছেন, উপবৃত্তাকার কক্ষপথে শুক্রগ্রহকে প্রদক্ষিণ করবে শুক্রযান-I । শুক্র গ্রহের ভূতাত্ত্বিক এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ, পৃষ্ঠ, গ্যাসের গতি, উপরের আচ্ছাদন এবং অন্যান্য গ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে গবেষণা করা হবে।